বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান চট্টগ্রাম টেস্টে

বাংলাদেশের দুর্দান্ত ব্যাটিং

চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে (৩০ এপ্রিল ২০২৫) বাংলাদেশ ৪০৪/৮ রানে পৌঁছে ১৭৭ রানের লিড নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। মেহেদি হাসান মিরাজ (১০৯ বলে ৭৬*) ও তানজিম হাসান সাকিব (৫৭ বলে ২৯*) এর অপরাজিত ৬২ রানের জুটি দলকে ১৫ ইনিংস পর ঘরের মাঠে টেস্টে ৪০০ রানের সীমানা ছাড়াতে সাহায্য করেছে। সাদমান ইসলামের দ্বিতীয় দিনের ১২০ রানের ভিত্তিতে নির্মিত এই ইনিংস সিরিজ সমতায় ফেরানোর পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছে।

মিরাজের দায়িত্বশীল ইনিংস

মিরাজ, যিনি দ্বিতীয় দিনে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন, তৃতীয় দিনে তানজিমের সঙ্গে দলের লিড ১৫০ ছাড়িয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ৭৬ রানের ইনিংসে ৮টি চার এবং ২টি ষটকার রয়েছে, যা তাঁর টেস্টে পঞ্চম ফিফটি। মিরাজের আক্রমণাত্মক শট, বিশেষ করে ভিনসেন্ট মেসেকেসার বিরুদ্ধে লফটেড কভার ড্রাইভ, জিম্বাবুয়ের বোলারদের চাপে রাখে। তাঁর ৫৮.২% স্ট্রাইক রেট এবং তানজিমের সঙ্গে ১০৩ বলে ৬২ রানের জুটি বাংলাদেশের ইনিংসকে শক্তিশালী করে।

তানজিমের ব্যাটিং দক্ষতা

অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিব, যিনি বোলিংয়ের জন্য একাদশে এসেছিলেন, ব্যাট হাতেও নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেন। ৫৭ বলে ২৯ রানের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন, মিরাজের সঙ্গে দৃঢ়তার সাথে ক্রিজে থেকে লিড বাড়ান। তানজিমের স্থিতিশীলতা জিম্বাবুয়ের বোলারদের হতাশ করে, যারা তৃতীয় দিনে মাত্র এক উইকেট নিতে পারে। তাঁর ব্যাটিং, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫১ রানের (গড় ১৭.৯২) অভিজ্ঞতার প্রতিফলন, বাংলাদেশের নিম্নমধ্যম ক্রমের গভীরতা দেখায়।

জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের দুর্বলতা

জিম্বাবুয়ের বোলাররা, বিশেষ করে ব্লেসিং মুজারাবানি (২৪ ওভারে ৬৮/১) এবং মেসেকেসা (৫/৮৪), কোনো উল্লেখযোগ্য হুমকি তৈরি করতে পারেনি। মেঘলা আকাশ এবং সকালে ১৮ মিনিটের বৃষ্টির বিরতি সত্ত্বেও পিচ ব্যাটিং-বান্ধব রয়ে গেছে, যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের সুবিধা দেয়। মেসেকেসার লেগ-স্পিনে তাইজুল স্টাম্পিং হন, কিন্তু জিম্বাবুয়ের অনিয়মিত লাইন-লেংথ এবং ক্রেইগ আরভাইনের কৌশলের অভাব মিরাজ-তানজিম জুটিকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়। X-এ @ZimCricketFan পোস্টে বোলারদের “দিশেহারা” বলা হয়।

বাংলাদেশের কৌশলগত সুবিধা

দ্বিতীয় দিনে সাদমান ইসলামের ১২০ এবং এনামুল হকের ৩৯ রানে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে শক্ত ভিত দেয়। তৃতীয় দিনে মিরাজের ফিফটি এবং তানজিমের অবদান দলকে ৪০০ রানের সীমানা ছাড়াতে সাহায্য করে, যা ঘরের মাঠে ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩৫ রানের পর প্রথম। মুশফিকুর রহিমের রান-আউট (৪০) এবং মধ্যম ক্রমের পতন (২০ রানে ৪ উইকেট) সত্ত্বেও, মিরাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৭৭ রানের লিড নিয়ে জয়ের পথে। তাইজুলের ৬/৪৪ এবং তানজিমের ২/৫৮ প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ধরাশায়ী করে, এবং চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে সিরিজ ১-১ করার লক্ষ্যে এগোবে।

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন