
থারিন্দু রত্নায়েকের অভিষেক
শ্রীলঙ্কার নতুন স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে ১৮ জুন ২০২৫-এ বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্টে অভিষেকে প্রথম সেশনে ২ উইকেট (সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক) নিয়ে ধরা দিলেন। দুই হাতে বোলিং করতে পারা এই ‘সব্যসাচী’ বোলার, কামিন্দু মেন্ডিসের মতো, শ্রীলঙ্কার নতুন অস্ত্র। তিনি ডান হাতে অফ-ব্রেক দিয়ে শুরু করলেও ৩৯তম ওভারে বাঁ হাতে লেগ-স্পিনে সুইচ করেন, যা ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে আলোচনা তৈরি করে।
ক্যারিয়ার ও দক্ষতা
১৯৯৬ সালে মারাভিলায় জন্ম নেওয়া থারিন্দু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৩ ম্যাচে ৩৩৭ উইকেট (২৯.৩০ গড়) নিয়েছেন, যার মধ্যে ২৬টি ৫ উইকেট হল ও ৫টি ম্যাচে ১০ উইকেট। তিনি বাঁ হাতে লেগ-স্পিনে পারদর্শী, তবে ডান হাতে অফ-স্পিনেও নিখুঁত। এই দ্বৈত দক্ষতা তাকে ম্যাচ-আপে সুবিধা দেয়, বিশেষ করে ডান-বাঁ হাতি ব্যাটারদের কম্বিনেশনে। তিনি দুই হাতে লেখার ক্ষমতাও রাখেন, যা ধারাভাষ্যকাররা উল্লেখ করেছেন।
ব্যাটিং ক্ষমতা
বোলিং ছাড়াও থারিন্দু নিচের ক্রমে ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পারেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১,৭৬১ রান (২১.৪৭ গড়) করেছেন, যার মধ্যে ৯টি অর্ধশতক, সর্বোচ্চ ৮৬। গলের টার্নিং পিচে তার ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার জন্য বোনাস হতে পারে, যেখানে তিনি প্রভাথ জয়াসুরিয়ার সঙ্গে স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কার কৌশল
অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার জন্য রত্নায়েকের দুই হাতে বোলিং কৌশলগত সুবিধা। গলের পিচে (২০২৪-এ ১৮ স্পিন উইকেট) তার বৈচিত্র্য ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। প্রথম সেশনে সাদমান (২২) ও মুমিনুল (৩৪) এর উইকেট নিয়ে তিনি প্রভাথের (৩৮ উইকেট, ২০২৪-২৫) সঙ্গী হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা দেখালেন। X-এ ফ্যানরা (@SLCricket) তাকে “নতুন মেন্ডিস” বলে উচ্ছ্বাসিত, তবে বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন ও মুমিনুলের প্রতিরোধ (২০২৪-এ ১,২০০ রান) তার ধৈর্য পরীক্ষা করবে।
পুঢে কায়?
রত্নায়েকের অভিষেক (২/৭০, ১৮ ওভার) শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তার বাঁ হাতি লেগ-স্পিন ম্যাচের ফল নির্ধারণ করতে পারে। শ্রীলঙ্কা ২০২৫-এ টেস্টে অপরাজিত থাকায় (৩ জয়, ১ ড্র), রত্নায়েকের ভূমিকা আগামী ম্যাচে, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে (নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী), গুরুত্বপূর্ণ হবে।