
তানজিমের টেস্ট অভিষেক
২৮ এপ্রিল ২০২৫-এ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান সাকিব দেশের ১০৭তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক করেন। টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাওয়া বাংলাদেশের হয়ে তানজিম মুশফিকুর রহিমের হাত থেকে টেস্ট ক্যাপ গ্রহণ করেন।
তানজিমের ক্রিকেট যাত্রা
২২ বছর বয়সী তানজিম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়েছেন, যা তাঁর পেস বোলিংয়ের সম্ভাবনা প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেকের পর তিনি ১০ ওয়ানডেতে ১৩ উইকেট এবং ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন। তাঁর গতি, নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রমণাত্মক শৈলী তাঁকে টেস্ট ফরম্যাটে একটি সম্পদ করে তুলেছে, এবং চট্টগ্রামে তিনি তাইজুল ইসলামের সঙ্গে লাঞ্চের সময় ৮৯/২-এ জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরতে সহায়তা করেন।
সিরিজের গুরুত্ব
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এই দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ ড্র করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিলেটে প্রথম ম্যাচে ৬৪ রানে হারের পর নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তানজিমের পাশাপাশি এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম হাসান একাদশে ফিরেছেন, যা দলের ভারসাম্য শক্তিশালী করেছে। জিম্বাবুয়েও মাসেকেসা নামে একজন লেগ-স্পিনারের অভিষেকের মাধ্যমে দুটি পরিবর্তন করেছে।
তানজিমের প্রভাব
তানজিম তাঁর অভিষেক টেস্টে প্রথম সেশনেই প্রভাব ফেলেছেন, বেনেটকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট তুলে নিয়ে তাইজুলের সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে ৮৯/২-এ আটকে রাখেন। তাঁর গতি (১৪০ কিমি/ঘণ্টার কাছাকাছি) এবং সঠিক লাইন-লেংথ চট্টগ্রামের খেলার পিচে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চাপে রেখেছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সাদা বলের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলিতে ৩৭ উইকেট তাঁর সম্ভাবনার প্রমাণ।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের জন্য এই টেস্ট সিরিজ বাঁচানোর পাশাপাশি ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সুযোগ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট রেকর্ড শক্তিশালী—১০ ম্যাচে ৬ জয়, ২ হার এবং ২ ড্র। তানজিম, হাসান মাহমুদ এবং তাইজুলের সমন্বিত পেস-স্পিন আক্রমণ জিম্বাবুয়েকে প্রথম দিনে ২২৪/৬-এ সীমাবদ্ধ রাখে, যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এনামুল হকের ফেরা এবং মুশফিকের অভিজ্ঞতা ব্যাটিংয়ে স্থিতিশীলতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিরিজ ১-১ এ ড্র করতে বাংলাদেশকে অবশ্যই দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে ফেলতে হবে।