
শ্রীলঙ্কার শুরুতে ধাক্কা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে (২ জুলাই ২০২৫, কলম্বো) বাংলাদেশ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে। ২৩ ওভারে শ্রীলঙ্কা ১০৫/৪, চারিথ আসালাঙ্কা (৪১*, ৫৫ বল) ও জানিথ লিয়ানাগে (৮*, ১৫ বল) ক্রিজে। তানজিম হাসান ও তাসকিন আহমেদের পেস আক্রমণে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে (১০ ওভার, ৫০/৩) তিন উইকেট পড়ে, শ্রীলঙ্কার রানের গতি (৪.৫৬ প্রতি ওভার) কমিয়ে।
তানজিম ও তাসকিনের আঘাত
তানজিম হাসান প্রথম ওভারে পাথুম নিসাঙ্কাকে (০, ৮ বল) ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার শুরু ভাঙেন। তার অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে নিসাঙ্কা খেলতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন (৩.১ ওভার, ৫/১)। তাসকিন আহমেদ, ফিরতি ম্যাচে, নিশান মাদুশকাকে (৬, ১৩ বল) বোল্ড করেন (৫ ওভার, ১৫/২) এবং কামিন্দু মেন্ডিসকে (০, ৪ বল) মিড-অফে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। তাসকিনের প্রথম স্পেল (৫ ওভার, ২ মেডেন, ১৩ রান, ২ উইকেট) বাংলাদেশের আধিপত্য দেখায়।
কুসাল-আসালাঙ্কার জুটি
কুসাল মেন্ডিস (৪৫, ৪৩ বল, ৬ চার, ১ ছক্কা) ও চারিথ আসালাঙ্কা (২৯, ৪০ বল, ২ চার, ২ ছক্কা) ৬৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে টানেন। কিন্তু তানভির ইসলামের দ্বিতীয় ওভারে (২২.৬) কুসাল মিডল-লেগ স্টাম্পের বল ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ ব্যর্থ হয়, তবে আম্পায়ার্স কল হওয়ায় শ্রীলঙ্কা রিভিউ ধরে রাখে। তানভির (৪ ওভার, ১৩ রান, ১ উইকেট) ও মেহেদী (৫ ওভার, ৩১ রান) চাপ ধরে রাখেন।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট
কলম্বো টেস্টে তাইজুল ইসলামের ফাইফারে (৫/১৩২) শ্রীলঙ্কা ৪৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে ২১১ রানে পিছিয়ে ছিল। এই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলিং আগ্রাসী, বিশেষ করে তাসকিন (২.৬০ ইকোনমি) ও তানজিম (৩.৫০ ইকোনমি)। শ্রীলঙ্কার নিসাঙ্কা (টেস্টে ১৫৮) ও কামিন্দু (৪২) ব্যর্থ হওয়ায় আসালাঙ্কার ফর্ম (২০২৪/২৫-এ ৮৫০ রান) গুরুত্বপূর্ণ।
আগামীর পথ
বাংলাদেশ তাসকিন ও তানজিমের পেস দিয়ে আসালাঙ্কা-লিয়ানাগের জুটি ভাঙতে চাইবে, যাতে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০-এর নিচে রাখা যায়। নাজমুল হোসেন শান্তর ফিল্ডিং সেটিং (৪ স্লিপ, ১ গালি) ও মেহেদীর স্পিন শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার পরীক্ষা করবে। X-এ ফ্যানরা তাসকিনের ফিরতি ফর্মে উচ্ছ্বসিত, তবে কুসালের রান-আউটের সম্ভাবনা মিস করায় হতাশ। দ্বিতীয় সেশনে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটিং বাংলাদেশের জয়ের ভিত্তি তৈরি করতে পারে।