
তাইজুলের ফাইফার
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিনে (২৭ জুন ২০২৫) বাংলাদেশ রানের পাহাড়ের চাপ এড়াতে তাইজুল ইসলামের ফাইফারের (৫/১৩২) উপর ভরসা করে। শ্রীলঙ্কা ৪৫৮ রানে অলআউট হয়, বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ২৪৭ রানের বিপরীতে ২১১ রানের লিড নিয়ে। তাইজুল পাথুম নিশাঙ্কা (১৫৮, ১৮১ বল, ১৮ চার) ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৪৫, ৬২ বল) সহ মূল উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস মুড়ে দেন। নাঈম হাসান (২/৯৮) ও নাহিদ রানা (২/১০৫) তাকে সমর্থন দেন।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস
দ্বিতীয় দিনে ২৯০/২ নিয়ে শুরু করে শ্রীলঙ্কা প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে ১১১ রান (৪.৪৪ রান প্রতি ওভার) তুলে ৪ উইকেট হারায়। নিশাঙ্কা, যিনি দ্বিতীয় দিনে শতক (১০২) করেছিলেন, ১৫৮ রানে তাইজুলের শিকার হন, স্টাম্পে লাগিয়ে। ধনঞ্জয়াকে তাইজুল পরের ওভারে ফিরিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলেন। নাহিদ প্রভাথ জয়সুরিয়াকে (১২) এবং নাঈম কামিন্দু মেন্ডিসকে (৪২) আউট করেন। কুশল মেন্ডিস (৮৪, ৮৭ বল, ৯ চার) ফিফটি করে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন, কিন্তু রান আউটে ধরা পড়েন। তাইজুল আসিথা ফার্নান্দোকে (৮) বোল্ড করে ইনিংস শেষ করেন।
বাংলাদেশের বোলিং
প্রথম সেশনে তাইজুল (৩/৮৫) ও নাঈমের আক্রমণ শ্রীলঙ্কার রানের গতি কমায়, যদিও ৪০১/৪ থেকে ৪৫৮ অলআউট পর্যন্ত লঙ্কানরা ৫৭ রান যোগ করে। নাহিদ ও এবাদত হোসেন (০/৪৫) প্রথম দিনে খরুচে ছিলেন, কিন্তু তৃতীয় দিনে নাহিদের গতি (১৪৬ কিমি/ঘণ্টা) কামিন্দুকে পরীক্ষা করে। সোনাল দিনুশা (১১) নাঈমের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হন, আর থারিন্দু রত্নায়েকে (১০) তাইজুলের বলে লং-অনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দেন। বাংলাদেশের ফিল্ডিং উন্নত হয়, তবে দুটি ক্যাচ ড্রপ (লিটন ও মুশফিক) লিড বাড়াতে বাধা দেয়।
আগামীর দৃশ্যপট
২১১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিম (২০২৪/২৫-এ ১৪০০ রান) ও নাজমুল হোসেন শান্তর (৬৫ প্রথম ইনিংসে) উপর ভরসা করতে হবে। শ্রীলঙ্কার জয়সুরিয়া (৪/৭৮ প্রথম ইনিংসে) ও রত্নায়েকের স্পিন কলম্বোর টার্নিং পিচে চ্যালেঞ্জ হবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৫০+ রানের ইনিংস, যা শ্রীলঙ্কাকে চতুর্থ ইনিংসে চাপে ফেলবে। X-এ ফ্যানরা তাইজুলের ফাইফারে উচ্ছ্বসিত, তবে পেসারদের অসফলতায় হতাশ। চতুর্থ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশ ফলো-অন এড়িয়ে জয় বা ড্রয়ের লড়াই করবে।