
মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনা
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৮ মে ২০২৫-এ বাংলাদেশ ইমার্জিং ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের দ্বিতীয় চার দিনের টেস্ট ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার শেপো এনটুলির বলে বাংলাদেশের টেল-এন্ডার রিপন মণ্ডল লং-অনে ছক্কা মারেন। এরপর এনটুলি রিপনের দিকে তেড়ে গিয়ে ধাক্কা দেন, হেলমেট টেনে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ, যা ভিডিওতে ধরা পড়ে, per Firstpost। আম্পায়ার কামরুজ্জামান ও সেলিম শাহেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। X-এ @OpIndia_in ঘটনাটিকে “ক্রিকেটের জন্য লজ্জাজনক” বলেছে।
ঘটনার বিবরণ
১০৫তম ওভারে রিপনের ছক্কার পর এনটুলি তাকিয়ে থাকেন, তারপর বাক্য বিনিময়ের পর তেড়ে যান। ভিডিওতে দেখা যায়, এনটুলি রিপনের হেলমেট টেনে ধাক্কা দেন, এমনকি আম্পায়ারের হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করেন। রিপন প্রতিরোধ করেন, ব্যাট তুলে মারতে উদ্যত হন কিন্তু সংযত হন। দুই বল পর এনটুলি রিপনের শরীর বরাবর বল ছুড়ে আঘাতের চেষ্টা করেন, যা রিপন ব্যাট দিয়ে ঠেকান। পরে এনটুলি রিপনকে (৪৩) স্টাম্পড করেন, per Newswire। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডার মিকা এল প্রিন্সও রিপনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
ম্যাচের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রানে অলআউট হয়, যেখানে রিপন (৮১ বলে ৪৩, ৩ চার, ২ ছক্কা) ও মেহেদী হাসান (৬৮ বলে ৪৪*, ৩ চার, ৪ ছক্কা) দারুণ লড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫২/৬, ২১৯ রানে পিছিয়ে, per ESPNCricinfo। ম্যাচ রেফারি শাস্তির জন্য আম্পায়ার রিপোর্ট পর্যালোচনা করছেন, per Prothom Alo। X-এ @Shantanu_media ঘটনাটিকে “হাতাহাতির নৌবত” বলে সমালোচনা করেছে।
প্রতিক্রিয়া ও পরিণতি
এই ঘটনা ক্রিকেট মহলে ব্যাপক নিন্দার জন্ম দিয়েছে। @Aaj_Urdu X-এ লিখেছে, “ছক্কার পর বোলারের এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।” ম্যাচ রেফারি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) ও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন, per Firstpost। এটি সিরিজের প্রথম বিতর্ক নয়, কারণ এর আগে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতলেও এই ঘটনা ম্যাচের ফলাফলের উপর ছায়া ফেলেছে। @manoramaonline ঘটনাটিকে “ক্রিকেটের কালো দিন” বলে উল্লেখ করেছে।