
সিরিজ হারের পর ক্ষমা
পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১ জুন ২০২৫-এ সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয় পায়, ১৬ বল বাকি থাকতে ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৭ ও ৫৭ রানে হেরেছিল, যেখানে পাকিস্তান ২০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। লিটন বলেন, “কোনো ম্যাচ জিততে না পারায় বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে সরি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব,” per Prothom Alo।
ম্যাচের বিশ্লেষণ
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৯৬/৭ স্কোর করে, যেখানে পারভেজ হোসেন ইমন (৫২, ৩৪ বল) ও তানজিদ হাসান তামিম (৬৮, ৪১ বল) ১১০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। তবে পাকিস্তানের বাবর আজম (৮২*, ৪৬ বল) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪৪, ২৮ বল) সহজে জয় তুলে নেয়। লিটন পুরস্কার বিতরণীতে বলেন, “বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে আমরা ভালো করিনি। পিচে ব্যাটিং ভালো হয়েছে, কিন্তু বোলিং পরিকল্পনা শিখতে হবে।” তিনি ইমন-তানজিদের জুটি ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, per ESPNcricinfo। X-এ @BDCricTime লিটনের বক্তব্যকে “আন্তরিক” বলেছে।
সমর্থকদের ভূমিকা
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ প্রচুর সমর্থন পেয়েছে। লিটন বলেন, “দর্শকদের সমর্থন চমৎকার ছিল। তারা দুই দলকেই উৎসাহ দিয়েছে।” তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং (৮.৯% শট কনভার্সন রেট) ও বোলিং (৯.২ ইকোনমি) তিন ম্যাচেই দুর্বল ছিল, per Cricbuzz। পাকিস্তানের ১২২ ছক্কার বিপরীতে বাংলাদেশ ৮৮ ছক্কা মারে। মোস্তাফিজুর রহমান (৪ উইকেট) ছাড়া বোলাররা অকার্যকর ছিলেন, যা সিরিজে শূন্য প্রাপ্তির কারণ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
লিটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরবর্তী অভিযান শ্রীলঙ্কায়, যেখানে তারা ১৭ জুন থেকে গল টেস্ট দিয়ে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি (জুলাই) খেলবে, per Risingbd.com। লিটনের আশাবাদ সত্ত্বেও, বাংলাদেশের ব্যাটিং (তাওহীদ হৃদয় ১২৪ রান) ও বোলিংয়ে উন্নতি প্রয়োজন। নাজমুল হোসেন শান্তর ফর্ম (৮১ রান, ৩ ম্যাচ) ও ফিল্ডিং ত্রুটি (১১ ড্রপ ক্যাচ) সমালোচিত হয়েছে, per Somoy News। X-এ @HT_Bangla লিটনের ক্ষমাকে “দায়িত্বশীল” বললেও শ্রীলঙ্কা সিরিজে “অগ্নিপরীক্ষা” আশঙ্কা করেছে। BCB নতুন কোচিং স্টাফ নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, per New Age।