
ক্রিকেটে অনেক খেলোয়াড়ই নিজের জন্য বড় বড় রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু সিঙ্গেল রান নেওয়ার ক্ষেত্রে কোহলির মতো কেউ নেই। তিনি শুধু একটি দৌড়ের কিংবদন্তি নন, বরং তার সিঙ্গেল রান নেওয়ার কৌশল ও পরিসংখ্যান তাকে অনন্য করে তুলেছে।
ফরেস্ট গাম্পের দৌড় এবং কোহলির সমান্তরাল
অস্কারজয়ী সিনেমা ফরেস্ট গাম্পের বিখ্যাত সংলাপ ‘রান! ফরেস্ট রান!’ হয়তো আপনি জানেন। যেখানে ফরেস্ট নিজের পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখতে পায় যে তার পেছনে বিশাল এক অনুসারী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ক্রিকেটে কোহলি হয়তো একই অভিজ্ঞতা পাবেন, যেখানে তার সিঙ্গেল রান নেওয়ার দক্ষতা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
কোহলির ক্যারিয়ার এবং সিঙ্গেল রান নেওয়ার রেকর্ড
কোহলি তার ১৭ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০১ ম্যাচে ২৮৯ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন এবং এখনও পর্যন্ত ৫,৮৬৮টি সিঙ্গেল রান নিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান তাকে সিঙ্গেল রান নেওয়ার ক্ষেত্রে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তাঁর পরের অবস্থানে রয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে, যাদের সিঙ্গেল রান নেওয়ার পরিসংখ্যানও অসাধারণ।
সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনের সঙ্গে কোহলির তুলনা
২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সিঙ্গেল রান নেওয়ার পরিসংখ্যান শুরু হয়েছে এবং তখন থেকেই সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনেও সিঙ্গেল রান নেওয়ার ক্ষেত্রে এক নজির স্থাপন করেছেন। সাঙ্গাকারার ৩৮০ ইনিংসে ৫,৬৮৮টি সিঙ্গেল এবং জয়াবর্ধনের ৩৮১ ইনিংসে ৫,০৪৬টি সিঙ্গেল রান নিয়েছেন।
কোহলির সিঙ্গেল রান নেওয়ার প্রতিযোগিতা
অপরদিকে, ভারতীয় কিংবদন্তি ধোনি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসও এই তালিকায় রয়েছেন। ধোনি ২৯৭ ইনিংসে ৪,৪৭৪টি সিঙ্গেল নিয়েছেন, আর ক্যালিস ২৩৯ ইনিংসে ৪,০৫৭টি সিঙ্গেল নিয়েছেন।
উপসংহার
কোহলি আজকের দিনে ক্রিকেটের সিঙ্গেল রান নেওয়ার এক শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন, যা অন্যান্য খেলোয়াড়দের জন্য একটি নিদর্শন। তার এই দৌড়ের পথে কখনও থামার কোন ইচ্ছা নেই। কোহলির সিঙ্গেল রান নেওয়ার এই দক্ষতা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি দীর্ঘদিনের মন্ত্র হতে চলেছে।