আইসিসি হল অব ফেম-এ নতুন সাত কিংবদন্তি: ধোনি, আমলা, টেইলরসহ আরও কারা

মেগা ইনডাকশন

লন্ডনের অ্যাবি রোড স্টুডিওতে ১০ জুন ২০২৫-এ ‘এ ডে উইথ দা লেজেন্ডস’ আয়োজনে আইসিসি হল অব ফেম-এ সাত কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো: মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাথু হেইডেন, হাশিম আমলা, গ্রায়েম স্মিথ, ড্যানিয়েল ভেটোরি, সারাহ টেইলর ও সানা মির। এই ‘মেগা ইনডাকশন’ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুই দিন আগে জমকালো অনুষ্ঠানে হয়, যেখানে পূর্ববর্তী হল সদস্য, নির্বাহী ও মিডিয়ার ভোটে এই সাতজন নির্বাচিত হন। এখন হল অব ফেম-এ মোট ১২২ ক্রিকেটার।

ধোনি ও আমলা

মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ক্রিকেটের সেরা অধিনায়কদের একজন, একমাত্র ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনটি আইসিসি সীমিত ওভারের ট্রফি জিতেছেন (২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি)। তার ৩৫০ ওয়ানডেতে ১০,৭৭৩ রান (৫০.৫৮ গড়, ১০ সেঞ্চুরি) ও ৯০ টেস্টে ৪,৮৭৬ রান। কিপার হিসেবে ৪৪৪ ডিসমিসাল (৩৩১ ক্যাচ, ১১৩ স্টাম্পিং) তার রেকর্ড। হাশিম আমলা, দক্ষিণ আফ্রিকার রান মেশিন, প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান (৩১১*), ১২৪ টেস্টে ৯,২৮২ রান (৪৬.৬৪ গড়, ২৮ সেঞ্চুরি) ও ১৮১ ওয়ানডেতে ৮,১১৩ রান (৪৯.৪৬ গড়, ২৭ সেঞ্চুরি) করেন।

স্মিথ, হেইডেন, ভেটোরি

গ্রায়েম স্মিথ ২২ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হয়ে ১০৯ টেস্টে ৫৩ জয়ের রেকর্ড গড়েন, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নেন। তার ১১৭ টেস্টে ৯,২৬৫ রান (৪৮.২৫ গড়, ২৭ সেঞ্চুরি)। ম্যাথু হেইডেন, অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনারদের একজন, ২০০১ ভারত সফরে উজ্জ্বল হয়ে ১০৩ টেস্টে ৮,৬২৫ রান (৫০.৭৩ গড়, ৩০ সেঞ্চুরি) ও ১৬১ ওয়ানডেতে ৬,১৩৩ রান করেন। ড্যানিয়েল ভেটোরি, নিউ জিল্যান্ডের সেরা স্পিনার, টেস্টে ৪,৫৩১ রান ও ৩৬২ উইকেট নেন, একমাত্র তিনজনের মধ্যে এই ‘ডাবল’ অর্জনকারী। তিনি ২৯৫ ওয়ানডেতে ৩০৫ উইকেট নিয়েছেন।

টেইলর ও মির

সারাহ টেইলর, নারী ক্রিকেটের সেরা কিপারদের একজন, ১৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। ২০০৯ ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে তার ২৩২ ডিসমিসাল (রেকর্ড তৎকালে) ও ব্যাটিং (১২৬ ওয়ানডেতে ৪,০৫৬ রান) গুরুত্বপূর্ণ। সানা মির, পাকিস্তানের প্রথম নারী হল সদস্য, ১২০ ওয়ানডেতে ৭২টিতে ও ১০৬ টি-২০-তে ৬৫টিতে নেতৃত্ব দেন। তার ১৫১ ওয়ানডে উইকেট পাকিস্তানের রেকর্ড, ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতান।

কী হবে এগিয়ে?

এই সাতজনের সম্মান আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের উৎসবমুখরতা বাড়িয়েছে। ধোনির নেতৃত্ব, আমলা-স্মিথের ব্যাটিং, হেইডেন-ভেটোরির অলরাউন্ডিং, টেইলর-মিরের নারী ক্রিকেটে অবদান ক্রিকেটের বৈচিত্র্য তুলে ধরে। X-এ @Cricbuzz ধোনি ও টেইলরের সম্মানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। হল অব ফেম-এর পরবর্তী ইনডাকশন ২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে হতে পারে, যেখানে নিকোলাস পুরানের মতো সদ্য সন্যাসীদের সম্মানিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইসিসি এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন