
হামজার আশাবাদী বার্তা
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন ২০২৫-এ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারলেও হামজা চৌধুরী আশা ছাড়েননি। ইংল্যান্ড ফেরার আগে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলেন, “ইতিবাচক থাকতে হবে। আমরা সবে শুরু করছি। ইনশাল্লাহ, শিগগিরই লক্ষ্যে পৌঁছাব।” সমর্থকদের হতাশা সত্ত্বেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সতীর্থদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে আগামীর প্রতিশ্রুতি দেন। কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শোমিত সোম, যিনি সিঙ্গাপুর ম্যাচে অভিষেক করেন, হামজার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন।
ম্যাচের সংক্ষেপ
সিঙ্গাপুরের ইখসান ফান্দির দুই গোল (১২তম, ৩৫তম মিনিট) বাংলাদেশকে ২-০ পিছিয়ে দেয়। রাকিব হোসেন ৫৫তম মিনিটে গোল করে আশা জাগান, কিন্তু সমতাসূচক গোল আসেনি। হামজা, যিনি মার্চে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে অভিষেক করেন এবং ভুটানের বিপক্ষে ২-০ জয়ে গোল করেন, বাছাইয়ে জয়ের স্বাদ পাননি। তবে তিনি দলের গর্ব ও ঐক্যের কথা বলেন, “আমরা দল ও জাতি হিসেবে গর্বিত।”
হংকং ম্যাচের গুরুত্ব
সিঙ্গাপুরের হারে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাই পথ কঠিন হয়েছে। ‘সি’ গ্রুপে হংকং ও ভারতের ৪ পয়েন্ট (হংকং সিঙ্গাপুর ও ভারতকে ১-০ হারিয়েছে), বাংলাদেশ ও ভারতের ১ পয়েন্ট। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচগুলো (৯ অক্টোবর ঢাকায়, ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে) হাভিয়ের কাবরেরার দলের জন্য নিয়তিগত। হামজা ও শোমিত তখন ফিরবেন, সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “অক্টোবরে দেখা হবে। আপনাদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।”
কী হবে এগিয়ে?
বাংলাদেশকে গ্রুপে প্রথম বা দ্বিতীয় হতে হবে ২০২৭ এশিয়ান কাপে খেলতে। হংকং ম্যাচে হামজার মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণ (৮৮% পাস নির্ভুলতা) ও রাকিবের আক্রমণ (৪ শট) গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গাপুরের ফান্দির মতো হংকংয়ের আক্রমণ (২.১ গোল প্রতি ম্যাচ) চ্যালেঞ্জ। কাবরেরার ৪-২-৩-১ কৌশলে তারিক কাজী ও কাজেম শাহের রক্ষণ শক্ত করতে হবে। X-এ সমর্থকরা (@bdfootball_live) হামজার আশাবাদে উৎসাহিত, তবে অক্টোবরে জয় চান।