
এনামুলের স্বপ্নের সময়
এনামুল হকের জন্য এখন সোনালি সময়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই সেঞ্চুরিসহ ১৪ ম্যাচে ৮৭৪ রান করে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করার পর তিনি ৫১তম সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। এই ফর্মের সুবাদে তিন বছর পর তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে।
জাতীয় দলে স্বপ্ন
এনামুল প্রথম আলোকে বলেছেন, জাতীয় দল তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়; তিনি সেখানে গিয়ে ভালো খেলার স্বপ্ন দেখেন। চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ব্যাগ গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি, যেখানে তিনি দেশের জন্য জয়ে অবদান রাখতে চান। তাঁর এই উদ্দেশ্য জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্বের বাইরে গিয়ে দেশের গৌরব বাড়ানোর ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে।
ধারাবাহিক পারফরম্যান্স
এনামুলের ফর্ম শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ নয়। গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৭ ম্যাচে ৬৭.৩৭ গড়ে ৭০০ রান করেছেন, যা তাঁর চার দিনের ক্রিকেটে দক্ষতা প্রমাণ করে। গত আগস্টে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ছিলেন, যদিও বৃষ্টির কারণে খেলার সুযোগ কম ছিল। তাঁর ধারাবাহিকতা এবং টেস্ট দলের ওপেনারদের ব্যর্থতা তাঁকে এই সুযোগ এনে দিয়েছে।
নির্বাচকদের দৃষ্টিভঙ্গি
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, এনামুলের ধারাবাহিকতা, ভালো মানসিকতা এবং বল নির্বাচনের ক্ষমতা তাঁকে দলে ফেরার যোগ্য করেছে। তাঁর খেলার ধরন অন্যদের থেকে আলাদা, বিশেষ করে কয়েকটি ম্যাচে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার ক্ষমতা। নির্বাচকেরা তাঁকে মাঝারি মেয়াদের সমাধান হিসেবে দেখছেন, এবং তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজেও খেলবেন।
টেস্টে চ্যালেঞ্জ
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর এনামুল মাত্র পাঁচটি টেস্টে ১০০ রান করেছেন, যা তাঁর সম্ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ৩২ বছর বয়সে তিনি এখন নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্স জাতীয় দলে তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে, বিশেষ করে দেশের জন্য জয়ে অবদান রাখার তাঁর প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে।