
সেশনের শেষে বাংলাদেশের ধস
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ শর্ট বলের ফাঁদে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। চা বিরতির ঠিক আগে মুশফিকুর রহিম একটি শর্ট বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন, যার ফলে দল ১৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। আরেকটি ওভার সাবধানে খেললে সেশনটি স্বস্তির সঙ্গে শেষ করা যেত।
শর্ট বলের কৌশল
জিম্বাবুয়ে পুরো সেশন জুড়ে শর্ট বলের একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োগ করেছে। ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর নিয়াউচি এবং ওয়েসলি মাধেভেরে বারবার শর্ট লেংথে বল করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মাথায় অন্তত দুবার বল লেগেছে, তবে তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইতিবাচক খেলেছেন। অন্যদিকে, অন্য ব্যাটাররা এই কৌশলে ধরাশায়ী হয়েছেন।
মুশফিক-মুমিনুলের পতন
সেশনের শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয় মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এরপর শান্ত এবং মুমিনুল হক ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিয়াউচির অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা শর্ট বল মুমিনুলের গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপারের হাতে চলে যায়। ফিফটির তিন রান দূরে থাকা মুমিনুলের বিদায় দলের জন্য ধাক্কা হয়। মুশফিকও শেষ মুহূর্তে মুজারাবানির শর্ট বলে ফাঁদে পড়েন।
ইতিবাচক শুরু, ব্যর্থ সমাপ্তি
সেশনের শুরুতে বাংলাদেশ ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে। শান্ত প্রথমে ওয়ানডে শৈলীতে আক্রমণাত্মক খেললেও মুমিনুলের আউটের পর রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েন। ৯৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মুশফিকের আগমন আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু তার আউটের ফলে সেশনটি জিম্বাবুয়ের পক্ষে চলে যায়, বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের শর্ট বলের কৌশল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা উন্মোচন করেছে। শান্ত ছাড়া অন্য ব্যাটাররা এই চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরবর্তী সেশনে দলকে পুনরুদ্ধার করতে হলে বাকি ব্যাটারদের শর্ট বলের বিরুদ্ধে কৌশল ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের সামনে এখন ম্যাচ বাঁচানোর বড় চ্যালেঞ্জ।