সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য হুমকি: ইখসান ফান্দি

ইখসান ফান্দির হুমকি

১০ জুন ২০২৫-এ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন স্ট্রাইকার ইখসান ফান্দি। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফান্দি আহমাদের ছেলে, বর্তমানে দেশের শীর্ষ গোলদাতা। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ম্যাচে তিনি ১২ মিনিটে হেডে জোড়া গোল করেন, ৩৯ ম্যাচে ২০ গোলের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করে। ৬ ফুট উচ্চতার ফান্দি বক্সে আতঙ্ক, এবং বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার জন্য তিনি বড় চ্যালেঞ্জ।

সিঙ্গাপুর কোচের বার্তা

সিঙ্গাপুর কোচ সুতোমু ওগুরা ফান্দির ফর্মে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “৬০ মিনিট খেলে সে গোল করেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে। ভালো বল সরবরাহ পেলে সে গোল করবে।” তবে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জয় (৩-২) সত্ত্বেও ওগুরা অসন্তুষ্ট: “৬০ মিনিট পর আমরা বল ধরে রাখতে পারিনি, ভারসাম্য হারিয়েছি। এভাবে খেললে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো সুযোগ নেই।” সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সাফুয়ান বাহারুদিন (১২৩ ম্যাচ) একই মত: “শেষ দিকে আমাদের খেলা মসৃণ ছিল না। বাংলাদেশের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছে, আমাদের উন্নতি করতে হবে।”

সিঙ্গাপুরের কৌশল

সিঙ্গাপুর ৭ জুন ঢাকায় পৌঁছাবে। ওগুরা প্রথমার্ধে গোলের উপর জোর দেন, যেমন মালদ্বীপের বিরুদ্ধে তিন গোল প্রথমার্ধে এসেছিল। তিনি বলেন, “৩-০ যথেষ্ট নয়। চার, পাঁচ বা ছয় গোল করলে প্রতিপক্ষ ভেঙে পড়বে। সুযোগ নষ্ট করলে প্রতিপক্ষ গোল করবে।” ফান্দির হেডিং (৮ গোল হেডে) এবং সেট-পিসে দক্ষতা বাংলাদেশের ডিফেন্সের (তারিক কাজী, কাজেম শাহ) জন্য পরীক্ষা হবে। বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী (১ গোল, ২ ম্যাচ) ও রাকিব হোসেনের কাউন্টার-অ্যাটাক ফান্দির আক্রমণের জবাব দিতে পারে।

১০ জুনের ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য ফান্দির গতি ও হেডিং রোধ করা অগ্রাধিকার। কাবরেরার ৪-২-৩-১ স্কিমে শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের ফ্ল্যাঙ্ক ডিফেন্স কী ফান্দিকে আটকাবে? সিঙ্গাপুরের দুর্বলতা—৬০ মিনিট পর বল হারানো—বাংলাদেশের জন্য সুযোগ। X-এ @BD_Football_Fans হামজার মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণের উপর ভরসা করছে, তবে ফান্দির ফর্ম (২ গোল, ১ ম্যাচ) উদ্বেগ। জয় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করবে, যেখানে প্রবাসী ফুটবলাররা গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন