বয়সের ভার এবং বারবার চোটের ধাক্কায় রাফায়েল নাদাল তার সেরা ফর্মে নেই। কিন্তু রোলাঁ গাঁরো ক্লে কোর্টে খেলা হওয়ায় তার কিছুটা আশা ছিল। তবুও, তিনি নোভাক জোকোভিচের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। একসময়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে সহজেই হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে এগিয়ে গেলেন জোকোভিচ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস
টেনিস কোর্টে নাদাল এবং জোকোভিচ ছিলেন একসময়ের প্রবল প্রতিপক্ষ। দুই জন মিলে গ্র্যান্ড স্ল্যামের এককে ৪৬টি শিরোপা জিতেছেন। তাদের লড়াইগুলো ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে এবারের লড়াইটা তেমন জমজমাট ছিল না। দাপুটে পারফরম্যান্সে ৬-১, ৬-৪ গেমে জিতে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন জোকোভিচ।
অলিম্পিকের স্বপ্ন
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকসে সোনার পদক জিতেছিলেন নাদাল। একই আসরে জোকোভিচ জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ক্যারিয়ারে রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেও, অলিম্পিকসে সোনা জেতা হয়নি জোকোভিচের। তার বয়স এখন ৩৭, শরীরে চোটও থাবা দিতে শুরু করেছে। তাই এবারই হয়তো তার শেষ সুযোগ অলিম্পিক সোনা জেতার।
জোকোভিচের দাপট
প্রথম দুই রাউন্ডেই সরাসরি সেটে জিতে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন সার্ব তারকা। পুরুষ এককে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন নাদাল, যার মধ্যে রোলাঁ গাঁরোর ফরাসি ওপেন জিতেছেন রেকর্ড ১৪ বার। তবে এবার তিনি তেমন লড়াই করতে পারেননি। প্রথম সেটে কোনো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি নাদাল। দ্বিতীয় সেটেও পিছিয়ে পড়েন ০-৪ গেমে। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে পরপর চার গেমে জিতে অবিশ্বাস্য কিছু করার সম্ভাবনা জাগান তিনি। কিন্তু ওই পর্যন্তই, পরের দুই গেম জিতে জয় নিশ্চিত করেন জোকোভিচ।