খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে দর্শকদের বোতল-কাপ নিক্ষেপ, মাঠে ঢুকে পড়া, অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডে ড্রেসিংরুমে প্রায় দুই ঘণ্টার অপেক্ষা- এসব নিয়ে ফিফার কাছে নালিশ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
প্যারিস অলিম্পিকসের ফুটবল ইভেন্টে গত বুধবার মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। এক সময় মনে হচ্ছিল, সাঁত এতিয়েনে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচ শেষ হতে যাচ্ছে ২-২ সমতায়। ৯০ মিনিট শেষে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে ছিল ২-১ গোলে। অতিরিক্ত যোগ করা হয় ১৫ মিনিট, সেই সময় পেরিয়ে একদম শেষ বাঁশি বাজার আগে মরক্কোর জালে বল পাঠান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান মেদিনা। এরপরই শুরু হয় বিপত্তি।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা
খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে কাপ, বোতল, ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করতে থাকে সমর্থকদের একটি অংশ। মরক্কোর জার্সি পরা অনেক সমর্থক মাঠেও ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুই দলের খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুমে চলে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ভিএআরে অফসাইডের জন্য বাতিল হয় মেদিনার গোল। হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ওই ঘটনার পর কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, ফুটবলে এটি তার দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস।
ফিফার কাছে অভিযোগ
সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ফিফার দ্বারস্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি এ ধরণের গুরুতর ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার’ কথাও বলেছে তারা। “ফুটবলের মতো সুন্দর খেলাটির শান্তিপূর্ণ বিকাশের জন্য খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য এবং এ জন্য আর্জেন্টিনা ফুটবল প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবে।”
আয়োজকদের প্রতিক্রিয়া
অপ্রত্যাশিত কাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে আয়োজকরাও। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা আরও বাড়াবে তারা। সেদিন বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও, ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছে আয়োজকরা। অলিম্পিকসের সিকিউরিটি ডিরেক্টর ব্রুনো লে রে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাঁত-এতিয়েনে আসছে ম্যাচগুলোতে নিরাপত্তারক্ষী এবং দর্শকদের ভিড় ঠেকানোর বেষ্টনীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করবেন তারা।
পরবর্তী ম্যাচের প্রস্তুতি
আগামী শনিবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।