টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই মুশতাক আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হিসেবে চুক্তি শেষ হয়েছিল। যদিও পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে রাখতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য আবারও দলের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। এবং তার কৌশলগত পরামর্শ বাংলাদেশের জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
টেস্টের চতুর্থ দিনে কী ঘটেছিল?
পাকিস্তানের পিচে চতুর্থ দিনের সকাল থেকেই মুশতাক লক্ষ্য করেন যে, উইকেটের ঘাস সরে গিয়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে। তিনি তখনই বুঝতে পারেন, সাকিব ও মিরাজের স্পিন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। তাদের দুর্দান্ত স্পিন বোলিং পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে দেয়, যা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের মূল কারণ।
নাহিদ রানার গতি পাকিস্তানকে ভড়কে দিয়েছে
বাংলাদেশের উদীয়মান পেসার নাহিদ রানা ধারাবাহিক গতি এবং আক্রমণাত্মক বোলিং করে পাকিস্তানের জন্য বড় চমক হয়ে উঠেছিলেন। মুশতাকের মতে, পাকিস্তান দল এমন গতি আশা করেনি, আর রানার বলিং তাদের পুরোপুরি হতবাক করে দেয়। তার এক্স-ফ্যাক্টর বোলিং বাংলাদেশ দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
মিরাজের মানবিক উদ্যোগ
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ সিরিজসেরা নির্বাচিত হওয়ার পর তার পুরস্কারের অর্থ একটি রিকশাচালকের পরিবারকে দান করার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, পাকিস্তানে খেলার সময় সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও দেখে তিনি মর্মাহত হন, যেখানে নিহত রিকশাচালকের ছেলে কান্না করছিল। এই মানবিক উদ্যোগ মিরাজের মানসিকতার আরেকটি উজ্জ্বল দিককে প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ দলের এই জয় শুধু একটি টেস্ট সিরিজ জয় নয়, এটি তাদের মানসিক দৃঢ়তা, পারদর্শিতা এবং একাগ্রতার চমৎকার উদাহরণ।