বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের বর্তমান পারফরম্যান্স উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে কোচ দরিভাল জুনিয়র বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ গোলে পরাজয় বরণ করতে হলো পঞ্চবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে।
ফিফা র্যাংকিং: বড় পার্থক্যেও পরাজিত ব্রাজিল
ফিফা র্যাংকিংয়ে ব্রাজিল আছে ৫ নম্বরে, অন্যদিকে প্যারাগুয়ে ৬২তম স্থানে অবস্থান করছে। দুই দলের মধ্যে ৫৭ ধাপের বিশাল পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্যারাগুয়ের কাছে পরাজয় এড়াতে পারেনি সেলেসাওরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ইন্টার মায়ামির উইঙ্গার দিয়েগো গোমেজের পা থেকে, যা ২০ মিনিটের মাথায় প্যারাগুয়েকে লিড এনে দেয়।
ব্রাজিলের আক্রমণ ব্যর্থ, প্যারাগুয়ের ডিফেন্সে দৃঢ়তা
ম্যাচের প্রথম থেকেই ব্রাজিল আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও, তাদের ফরোয়ার্ডরা একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। অন্যদিকে প্যারাগুয়ের ডিফেন্স ছিল অটল এবং সংঘবদ্ধ, ফলে ব্রাজিল কোনোভাবেই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সেলেসাওদের।
১৬ বছর পর প্যারাগুয়ের কাছে ব্রাজিলের হার
ব্রাজিল সর্বশেষ প্যারাগুয়ের কাছে হেরেছিল ২০০৮ সালে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও প্যারাগুয়ের কাছে হার মানতে হলো ব্রাজিলকে। এই হার কেবল একটি ম্যাচের পরাজয় নয়, এটি ব্রাজিলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের সংকটকেও তুলে ধরছে।
এই পরাজয়ের ফলে, ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ব্রাজিল পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে। এটি ছিল তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চতুর্থ হার। বর্তমানে ৮টি ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট মাত্র ১০।
সামনের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে সামলাবে ব্রাজিল?
ব্রাজিলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দলকে আবার ছন্দে ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে, কোচ দরিভাল জুনিয়র এবং তার শিষ্যদের সামনে আসন্ন ম্যাচগুলো হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেলেসাওদের ভক্তরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তাদের প্রিয় দল আবার কবে বিজয়ের পথে ফিরবে।