বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সবসময়ই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য উত্তেজনা নিয়ে আসে। তবে এবারের আসর নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার বদলে শোরগোল উঠেছে ফিক্সিং বিতর্কে। অস্বাভাবিক ম্যাচ পরিস্থিতি, খেলোয়াড়দের আচরণ, এবং সন্দেহজনক ঘটনাগুলো এবারের আসরকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা
- ম্যাচে অস্বাভাবিক ওয়াইড ডেলিভারি, যা পেশাদার ক্রিকেটে বিরল।
- উইকেটরক্ষকরা বল ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন, যা জাতীয় দলের মানের সঙ্গে মানানসই নয়।
- ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে চার-ছয়ের ঝড় এবং অস্বাভাবিক শিথিল বোলিং অ্যাকশন।
- সোশ্যাল মিডিয়া এবং গ্যালারিতে আনন্দ থাকলেও মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে সবার মনে সংশয়।
বিপিএলে ফিক্সিংয়ের কালো ইতিহাস
ফিক্সিং বিতর্ক বিপিএলের জন্য নতুন নয়।
- ২০১৩ সালে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে।
- সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারও একই ধরনের কালো ছায়া ছড়িয়ে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
ক্রিকেট বেটিং অডস এবং বাজি নির্ধারণকারী এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান রব ব্যারন জানিয়েছেন:
“বিপিএল বরাবরই অনিয়মিত বাজার হিসেবে পরিচিত। পেশাদার বাজিকরেরা এখানে যুক্ত হতে চান না কারণ ম্যাচগুলোতে নিয়মিত প্যাটার্ন দেখা যায় না।”
পরিসংখ্যান কী বলছে?
২০২৪ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী:
- ক্রিকেটের বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ৩০ লাখ বলের ওপর ৪২৪ মিলিয়ন বেটিং অডস তৈরি করা হয়েছিল।
- বিপিএলের অবস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও সন্দেহজনক কার্যকলাপের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক উঠছে।
পরিবর্তনের বদলে কলঙ্ক
এবারের বিপিএলকে অনেকেই দেখছিলেন পরিবর্তনের আসর হিসেবে। তবে একের পর এক বিতর্ক ও সন্দেহজনক ঘটনাগুলো কলঙ্কিত করার দিকেই টুর্নামেন্টকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন বিতর্ক আর সংশয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য হতাশাজনক। এটি সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।