ভারতীয় ক্রিকেটের মহারথী বিরাট কোহলি দীর্ঘ ১২ বছর পর রঞ্জি ট্রফি-তে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তন ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। রেলওয়ে বনাম দিল্লি ম্যাচে কোহলি মাত্র ১৫ বল খেলেই আউট হন, এবং তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ৪ রান।
কোহলির আউট হওয়া এবং দিল্লির ব্যাটিং বিপর্যয়
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালে, কোহলির ব্যাটিং দক্ষতা দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক। কিন্তু কোহলির ব্যাটে এল কোনো রান না আসতেই, স্টেডিয়ামের পরিবেশে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। রেলওয়ে পেসার হিমাংশু সংগোয়ান তাঁর অফস্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন, যখন কোহলি সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন।
এই আউটটি তাঁর বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি-তে দেখা সেই পুরানো টেকনিকের সমস্যাগুলোরই প্রতিফলন ছিল। কোহলি যেভাবে আউট হয়েছেন, তা ২০১২ সালের পরের খেলাগুলোর সাথে তুলনা করলে একই ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে।
কোহলির আউট হতেই, দিল্লি ব্যাটিংয়ে এক বড় বিপর্যয় দেখা যায়। পরবর্তী ওভারেই, সংগোয়ান হিমাংশু-কেও আউট করেন, এবং দিল্লি ৩০ ওভার শেষে ১০৩/৪ অবস্থায় পৌঁছায়।
রঞ্জি ট্রফিতে কোহলির অতীত এবং ভবিষ্যৎ
বিরাট কোহলি ২০১২ সালের নভেম্বরে রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে প্রথম খেলেছিলেন। ঐ ম্যাচটি গাজিয়াবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে কোহলি ১৪ এবং ৪৩ রান করেন। এরপর তিনি ২৩টি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন, এবং তার গড় রান ছিল ৫০.৭৭, যা তার ধারাবাহিকতা এবং দক্ষতার প্রমাণ।
কোহলির রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১০ সালে বেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১৭৩ রান। তবে এবারের প্রত্যাবর্তনে কোহলির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা তার ভক্তদের জন্য হতাশাজনক ছিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কোহলির রঞ্জি ট্রফি-তে আরও কতটা সফলতা থাকবে, এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রভাব কি পরিবর্তিত হবে?