
ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার বীরেন্দর সেহওয়াগ এক পডকাস্টে জানিয়েছেন, যে সময় তিনি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তিনি হতাশ ছিলেন। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পরও সেহওয়াগ ভাবছিলেন যে, ক্রিকেটে আর তার কোন জায়গা নেই।
মহেন্দ্র সিং ধোনির সিদ্ধান্তে হতাশ সেহওয়াগ
২০০৭-২০০৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় সেহওয়াগকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রথম তিন ম্যাচের পর, ধোনির সিদ্ধান্তে সেহওয়াগ এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করেন। তখন তিনি মনে করেন, যদি দলে জায়গা না পায়, তাহলে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার আর কোন মানে নেই।
টেন্ডুলকারের পরামর্শে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
এমন পরিস্থিতিতে সেহওয়াগ তার সিদ্ধান্ত নিয়ে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। শচীন তাকে বলেন, “১৯৯৯-২০০০ সালে আমারও এমন সময় এসেছিল, কিন্তু সেটা কেটে গেছে। তুমি এখন খারাপ সময়ের মধ্যে যাচ্ছ, এটা কেটে যাবে। অন্তত ১-২ সিরিজ সময় দাও, তারপর সিদ্ধান্ত নাও।”
বিশ্বকাপ জয়ী দলে ফিরে আসা
শচীনের পরামর্শ মেনে সেহওয়াগ ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এর পর তিনি একের পর এক ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন।
সেহওয়াগের ওয়ানডে ক্যারিয়ার
সেহওয়াগের ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ হয় ২৫১ ম্যাচ খেলে, যেখানে তিনি ৮,২৭৩ রান সংগ্রহ করেন। তার গড় ছিল ৩৫.০৫ এবং স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৪.৩৩, এতে ১৫টি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফসেঞ্চুরি অন্তর্ভুক্ত ছিল।