
রোহিত শর্মার নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্সের প্রশংসা
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার অবসর নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তা ভাবনা দেখছেন না। তিনি মনে করেন, রোহিত শর্মা তার নেতৃত্ব ও ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। ডি ভিলিয়ার্সের মতে, রোহিত শর্মার অবসর নিয়ে গুজব ছড়ানো উচিত নয়, কারণ তার খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ার এখনো দুর্দান্ত।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের দলের নেতৃত্ব দেন রোহিত শর্মা। ওই সময় তিনি ৮৩ বলে ৭৬ রান করেছিলেন এবং ভারতকে একটি শক্তিশালী সূচনা এনে দেন। তার নেতৃত্বের দক্ষতা এবং ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজে তিনি ১১৯ রান করেছিলেন, যা তার ব্যাটিং দক্ষতার প্রমাণ।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের সাফল্য
যদিও রোহিত শর্মার বয়স এখন ৩৭ বছর, তবে ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, তার অবসর নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়। রোহিত শর্মা নিজেও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন না। তার নেতৃত্বে ভারতের জয় শতকরা ৭৫ শতাংশ এবং এই রেকর্ডের ভিত্তিতে তিনি বিশ্বমানের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ডি ভিলিয়ার্স তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “রোহিত শর্মা তার অবসর নিয়ে কোনো ভাবনা করেন না। তার রেকর্ডই তার পক্ষে কথা বলে। অধিনায়ক হিসেবে তার জয়ের হার ৭৪ থেকে ৭৫ শতাংশের মধ্যে, যা এক অসাধারণ মাইলফলক।”
রোহিত শর্মার ব্যাটিং ধরনে বড় পরিবর্তন
এছাড়া, রোহিত শর্মা তার ব্যাটিং ধরনেও বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন। তিনি আগে শুরুর দিকে ধীরে খেলতেন, তবে এখন তিনি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেন। ২০২২ সাল থেকে পাওয়ার প্লেতে তার স্ট্রাইক রেট ১১৫-এ পৌঁছেছে, যা একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যানের জন্য অসাধারণ।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, “এটা শুধুমাত্র একজন গ্রেট খেলোয়াড়ের দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে—সে নিজের খেলা পরিবর্তন করে এবং আরও উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। রোহিত শর্মার এমন খেলোয়াড় হওয়া উচিত, যিনি অবসর নিয়ে চিন্তা না করে শুধুমাত্র তার খেলায় আরও উন্নতি করবেন।”
অতএব, ডি ভিলিয়ার্সের মতে, রোহিত শর্মার অবসর নেওয়ার কোনো কারণ নেই। তার প্রতিভা এবং ব্যাটিং-নেতৃত্বের দক্ষতা তাকে এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শীর্ষে রেখেছে, এবং এমনকি ভবিষ্যতে আরও সাফল্য আশা করা যায়।