আমরা সব জায়গায় সিরিজ জিতেছি, লক্ষ্য এবার বিশ্বকাপ’

৯৫ রানে আউট হয়ে আক্ষেপ হচ্ছিল তাঁর। বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকারের পরও সে আক্ষেপ দূর হয়নি। পেস বোলিং কোচ ডলার মাহমুদ জানান, হাতের আঙুলে সেলাই নিয়েও ফাইনালে বোলিং করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার রিজান। হারারে থেকে সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যের কথা জানান রিজান হোসেন।

বিশ্বের ৯ ক্রিকেটারের তালিকায় স্থান পাওয়া এবং বাংলাদেশের উন্নতি

রিজান: “সেঞ্চুরিটা হলে বেশি ভালো লাগত। ১০০ রান করার আনন্দ অন্যরকম। রানআউটটা হয়নি, ক্রিজে ঢুকে গিয়েছিলাম। ৯৫ রানের সঙ্গে ৫ উইকেট শিকারও একটি অর্জন। বাংলাদেশ উন্নতি করছে, এ রেকর্ডগুলো তো থেকে যায়।”

দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয় এবং বিশ্বকাপ প্রস্তুতি

রিজান: “দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে হারানো দারুণ ব্যাপার। জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতার পর জানুয়ারিতে এখানেই বিশ্বকাপ হবে। বিশ্বকাপ ভেন্যুতে ভালো প্রস্তুতি হয়ে গেল।”

বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য: চ্যাম্পিয়ন হওয়া

রিজান: “আমরা সব জায়গায় সিরিজ জিতেছি। এখন পর্যন্ত নেতিবাচক ফল হয়নি। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যা করা দরকার, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্যাররা আমাদের ভালোভাবে গাইড করছেন। ধারাবাহিক থাকলে বিশ্বকাপে ভালো ফল হবে।”

অলরাউন্ডার হওয়ার গল্প এবং প্রেরণা

রিজান: “আমি অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে খেলছি। তখন থেকেই অলরাউন্ডার। ডানহাতি ব্যাটার ও মিডিয়াম পেস বোলিং করতাম। এখন বেশি ফোকাস দিচ্ছি। স্যারদের মনোযোগ পাচ্ছি। বেন স্টোকসকে খুব ভালো লাগে, তার ব্যাটিং-বোলিং মনোযোগ দিয়ে দেখি।”

মনোবিদ ক্লাস এবং কোচিং সহায়তা

রিজান: “বিসিবি মনোবিদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার কৌশল বলেন। আমাদের পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”

পেস বোলিং কোচ ডলার মাহমুদের সহায়তা

রিজান: “ডলার স্যার হাতে ধরে শেখাচ্ছেন। সুইং শেখাচ্ছেন, ঠিক কোন ডেলিভারি দিলে সফল হব, সে অনুযায়ী বোলিং করায় সফল হয়েছি।”

দলের শক্তিশালী বিভাগ

রিজান: “তিন বিভাগই ভালো। অলরাউন্ডাররা ভালো করছেন, অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও অলরাউন্ডার। ফাহাদ পেস বোলিংয়ে ভালো করছে। সব মিলিয়ে দলটা ভালো।”

২০২৬ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রেরণা

রিজান: “২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ জয় অনেক আগে হয়ে গেছে। এখন নতুন করে কিছু করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব, বিশ্বাস আছে।”

শিক্ষা জীবন

রিজান: “এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ছি, টাঙ্গাইল মামুনুল হাসান জেনারেল কলেজে।”

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন