
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডিতে সুপার ওভারে রিশাদ হোসেনকে ব্যাটিংয়ে না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের কোচ, অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজেয় ইনিংস খেলে দলকে সুপার ওভার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া রিশাদকে বাদ দিয়ে সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে পাঠানোর কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও।
কোচ-অধিনায়কের পরিকল্পনা: মেইন ব্যাটার এবং হ্যান্ডেডনেস কম্বিনেশন
সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার জানান, সুপার ওভারের ব্যাটিং লাইনআপ নির্ধারণ করেছেন কোচ এবং অধিনায়ক। এটি তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল, যাতে মূল ব্যাটসম্যানদের পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম না যে আকিল হোসেন বল করবে। যদি দুজন বাঁহাতি ব্যাটার নামতাম এবং অফ-স্পিনার আসত, তাহলে বিপদে পড়তাম। তাই ডানহাতি-বাঁহাতির মিশ্রণ রাখা হয়েছে।” এছাড়া, শান্তকে নামানোর কারণ হিসেবে বাঁহাতি স্পিনারের সামনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সুবিধা উল্লেখ করেন সৌম্য, যদিও রিশাদের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটারকে বাদ দেওয়া নিয়ে সরাসরি ব্যাখ্যা এড়িয়ে যান। কোচ-অধিনায়ক এবং অন্যান্য স্টাফ মিডিয়ার সামনে না এসে সৌম্যকেই সামনে পাঠানো হয়েছে।
রিশাদের অনুপস্থিতিতে হারের সুযোগ: সৌম্য নিলেন দায়
সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষ্য ছিল, যা দুটি ওয়াইড-নো বলের সাহায্যে ৭ রানে নেমে এসেছিল। ফ্রি হিট সহ সহজ সমীকরণ থাকলেও বাংলাদেশ মাত্র ৯ রান তুলতে পারে। সৌম্য ফ্রি হিটে ১ রান নেন, চতুর্থ বলে আউট হন, এবং পরে সমালোচনা নিজের উপর নেন। তিনি বলেন, “আমার জন্যই ব্যর্থতা। বাঁহাতি স্পিনারের সামনে বাউন্ডারি মারার আত্মবিশ্বাস ছিল, কিন্তু পুরনো বল এবং টার্নিং উইকেটে পারিনি। পরেরবার এমন প্র্যাকটিস করব।” মূল ম্যাচে রিশাদ দুই বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটি এবং আকিল হোসেনকে তুলাধুনা করলেও টিম ম্যানেজমেন্ট তার উপর আস্থা রাখেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও অবাক: আকিলের মন্তব্য এবং বিতর্কের ঝড়
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার আকিল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে অকপটে বলেন, “আমি অবাক হয়েছি। ম্যাচে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ছিল রিশাদ, ১৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত। সুপার ওভারে তাকে না দেখে সকলে অবাক। ছোট বাউন্ডারিতে সে দুটি ছক্কা মেরেছিল, তাকে পাঠালে আমাদের কঠিন হতো।” এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা বয়ে যাচ্ছে, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও এতে লাভবান হয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম সুপার ওভার অভিজ্ঞতায় একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলেছে।