রেয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবমূল্যায়ন করা হয় না। এই দলটির দুর্দান্ত মানসিকতা এবং গুণগত মান দেখে অভিভূত হওয়ার মতো কারণ সবসময়ই থাকে। বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলার জসুয়া কিমিখ বলেছেন, রেয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখার সময় এই দলের মানসিক ও খেলার দক্ষতা উপলব্ধি করা যায়। ঘরোয়া অন্যান্য প্রতিযোগিতা যেমনই কাটুক না কেন, ইউরোপের মঞ্চে রেয়াল সবসময়ই ভিন্ন এক রূপে প্রকাশ পায়। কোচ কার্লো আনচেলত্তির মতে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিটি দল রেয়ালকে সম্মান জানায়।
এবারের কোয়ার্টার-ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে এখন সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে রেয়াল।
রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্যানচেস্টার সিটি: শেষ আটের টানটান উত্তেজনা
মাদ্রিদের মাটিতে প্রথম লেগে ৩-৩ গোলের ড্রয়ের পর ম্যানচেস্টারে ফিরতি লেগে অধিকাংশ সময় ম্যানচেস্টার সিটির দাপট দেখা গেলেও খেলা ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। পরবর্তীতে পেনাল্টি শুটআউটে আনচেলত্তির দল ৪-৩ গোলে জয়লাভ করে।
গত মৌসুমের শেষে কারিম বেনজেমাকে হারানোর পর এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ একের পর এক চোটের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে। আনচেলত্তি অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে দল গঠন করলেও ম্যানচেস্টার সিটির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা অনেকের কল্পনাতীত ছিল। যদিও পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে প্রাথমিকভাবে ফেভারিট মনে করা হলেও, প্রতিযোগিতার ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা তাদের সব অনুমান উল্টে দিয়ে জয়ী হয়।
রেয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল প্রাপ্তির স্থায়িত্ব
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বশেষ ১৪টি আসরের মধ্যে ১২ বার সেমি-ফাইনালে উপনীত হয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। এই সময়কালে তারা পাঁচবার ফাইনালে পৌঁছে প্রত্যেকবারই শিরোপা জিতেছে। এসব পরিসংখ্যানে তাদের এই প্রতিযোগিতায় আধিপত্য স্পষ্ট।
আগামী ফাইনালে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আগামী মঙ্গলবার বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে খেলবে রেয়াল। ম্যাচের পূর্বদিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ আনচেলত্তি বলেছেন, প্রচেষ্টা ও নিবেদনের সর্বোচ্চ দিয়ে তারা এই পর্যায়ে এসেছেন।
“এই প্রতিযোগিতায় রেয়াল মাদ্রিদকে কখনো অবমূল্যায়িত করা হয় না, কারণ সবাই জানে আমরা কী করতে পারি। আমরা সবার কাছ থেকে সম্মান পাই,” তিনি যোগ করেন।
“সেমি-ফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস আমাদের আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নিয়ে যেতে পারে। এখানে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের প্রচেষ্টা, পরিশ্রম ও নিবেদন দিয়ে আমরা এটি অর্জন করেছি,” আনচেলত্তি উল্লেখ করেন।