মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিয়মিত নেতৃত্ব দিয়ে নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন, এবার বাংলাদেশের ১৪তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামছেন। তার এই দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর চোটের কারণে। তবে, অ্যান্টিগার পেস-সহায়ক উইকেটে তার সামনে রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
শারজার অভিজ্ঞতা থেকে টেস্ট অধিনায়কত্বে
শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই মিরাজ তার দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস দিয়ে দলকে সহায়তা করেছিলেন। এবার টেস্টে তাকে একইভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ড মাঠে ক্যারিবীয় পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সহজ হবে না।
বাংলাদেশ দলের চ্যালেঞ্জ
অ্যান্টিগার পেস-সহায়ক উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতি দলের ব্যাটিং লাইনআপকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। মুমিনুল হক ও লিটন দাস ছাড়া অভিজ্ঞ ব্যাটার না থাকায় দলের উপর চাপ আরও বেশি। তরুণ ব্যাটাররা, যেমন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান, এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি।
ক্যারিবীয় পেস আক্রমণ বনাম বাংলাদেশের বোলিং
ক্যারিবীয় দলের জাডেন সিলস, শামার জোসেফ এবং আলজারি জোসেফের পেস আক্রমণ ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট, বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার দুর্দান্ত ফর্ম, প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা জাগাচ্ছে।
প্রকৃতির বাধা
বৃষ্টির সম্ভাবনা ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে খেলার পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলতে পারে। বৃষ্টি হলে পেসারদের সুবিধা বাড়বে এবং ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।
মিরাজের অধিনায়কত্বে এই নতুন যাত্রা বাংলাদেশের জন্য এক বড় পরীক্ষা। এই চ্যালেঞ্জ থেকে দল কিভাবে বেরিয়ে আসে, সেটাই দেখার বিষয়।