মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হলো ৩০৭ রানে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে। চলুন এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত দেখে নিই।
ঘূর্ণিঝড়ের পরও খেলা শুরু
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। আকাশে মেঘ আর হালকা বৃষ্টি হলেও খেলা শুরু হয় যথাসময়ে। কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই স্পিনার নাঈম হাসান আউট হয়ে ফিরে যান, যা বাংলাদেশের জন্য এক ধাক্কা হয়ে আসে।
মিরাজের সেঞ্চুরি মিসের হতাশা
মিরাজ তৃতীয় দিনের শেষে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং সবাই আশা করছিলেন তিনি সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু চতুর্থ দিনে দুর্ভাগ্যবশত ৯৭ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তার অসাধারণ ইনিংস দলকে বড় সংগ্রহ গড়তে সাহায্য করে, কিন্তু সেঞ্চুরি মিসের হতাশা তার মুখে স্পষ্ট ছিল।
জাকের আলীর সাহসী অভিষেক
তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। সেখান থেকে অভিষেক খেলোয়াড় জাকের আলী মিরাজের সঙ্গে ১৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। জাকের তার প্রথম টেস্টেই ৫৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্য
দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে। কাইল ভেরায়েনে ১১৪ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে প্রোটিয়াদের শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৫টি উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে আলোকিত হন।
উত্তেজনাপূর্ণ ফিনিশের অপেক্ষা
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। ম্যাচের ফলাফল এখনও অনিশ্চিত, কিন্তু বাংলাদেশকে জিততে হলে বোলিং আক্রমণে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।