
ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য দেশের মাঠে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা বাধ্যতামূলক মনে করেন না; বরং ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য আলাদা দুই-তিন মাসের পরিকল্পনা যথেষ্ট বলে বিশ্বাস করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ী সিরিজের পর তিনি বলেন, ফলাফলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং হোম অ্যাডভান্টেজ সব দলই নেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জয়: হোম অ্যাডভান্টেজের সুবিধা এবং প্রশ্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধীরগতির স্পিন-সহায়ক উইকেটে খেলে বাংলাদেশ ২-১ গোলের জয় নিয়েছে, টানা চার সিরিজের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বড় সাফল্য। কিন্তু এই ধরনের পিচে জয় পেলেও দলের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ বিশ্বকাপের মতো গ্লোবাল ইভেন্টে উইকেট ভিন্ন হয়। মিরাজ অবশ্য এতে সমস্যা দেখেন না: “পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যাওয়া যাক, সবাই হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তারা নিয়েছে, আমরাও বাংলাদেশে নেব। দিন শেষে ফলাফলই চাই সবাই।” তিনি স্বীকার করেন যে বাইরের সিরিজে এই সুবিধা সবসময় পাওয়া যাবে না, বিশেষ করে আফগানিস্তান বা উপমহাদেশের দলের বিরুদ্ধে।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি: আলাদা পরিকল্পনা এবং বর্তমান ফোকাস
২০২৭ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় হবে, যেখানে মিরপুরের নিচু বাউন্সের উইকেটের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন পিচ থাকবে। অনেকে মনে করেন, দেশের ধীরগতির উইকেটে অভ্যস্ততা বিশ্বকাপে অসুবিধা সৃষ্টি করে। কিন্তু মিরাজ এতে একমত নন: “বিশ্বকাপে ভালো না করার জন্য আলাদা প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা দরকার। আমার মতে, দুই-তিন মাস আগে থেকে স্কিল ক্যাম্প, অনুশীলন এবং খেলার স্টাইল ঠিক করা উচিত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোম অ্যাডভান্টেজ জরুরি, কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য আলাদা প্রস্তুতি।” তিনি এখনও বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে অনিচ্ছুক, বলেন: “এখনও অনেক দেরি। আগে র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ঠিক করি, সামনের সিরিজে ফোকাস করি।” ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে, কোনো রেটিং পয়েন্ট বাড়েনি; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ নম্বরে। ২০২৭ বিশ্বকাপে ১৪ দলের মধ্যে ১০টি (স্বাগতিক দুই সহ) সরাসরি খেলবে, বাকি চারটি কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে।