
পেদ্রোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
চেলসির নতুন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো, যিনি ২ জুলাই ২০২৫-এ ব্রাইটন থেকে £৫০ মিলিয়নে যোগ দেন, ক্লাব বিশ্বকাপ-২০২৫-এর সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে তুললেন। ৮ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ২৩ বছর বয়সী এই তারকা ১৮ ও ৫৬ মিনিটে দুটি চোখধাঁধানো গোল করেন। তবে, তিনি উদযাপন করেননি, বরং হাত জোড় করে ফ্লুমিনেসির সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চান, কারণ এই ক্লাব তাঁর শৈশবের দল।
- প্রথম গোল (১৮’): পেদ্রো নেতোর সঙ্গে মাঝমাঠে আন্দ্রেকে বল কেড়ে কাউন্টার শুরু করেন। নেতোর ক্রস থিয়াগো সিলভা ক্লিয়ার করলেও বল বক্সের বাইরে পেদ্রোর কাছে আসে। তিনি ২০-গজের বাঁকানো শটে ফাবিওকে পরাস্ত করেন। গোলের পর তিনি হাত তুলে ক্ষমা চান, নেতো অবিশ্বাসে মাথায় হাত দেন।
- দ্বিতীয় গোল (৫৬’): এনজো ফার্নান্দেজের পাসে পেদ্রো বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে ইগনাসিওকে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ২৫-গজের শটে ক্রসবারে লাগিয়ে গোল করেন। ফাবিও অসহায় ছিলেন, তবে পেদ্রো আবার উদযাপন থেকে বিরত থাকেন।
ক্ষমা প্রকাশের কারণ
ম্যাচের পর পেদ্রো বলেন, “ফ্লুমিনেসি আমাকে সব দিয়েছে। তারা আমাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আমি এখানে আছি কারণ তারা আমার উপর ভরসা করেছিল। আমি কৃতজ্ঞ, তবে ফুটবলে পেশাদারিত্ব চাই। তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।” তিনি দলের জয়ে খুশি: “শুরুর একাদশে থাকায় গোল ও নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছি। দল ভালো খেলেছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
পেদ্রোর পটভূমি
সাও পাওলোতে জন্ম নেওয়া পেদ্রোর বাবা জোসে জোয়াও দে জেসুস (চিকাও) বোতাফোগোর ফুটবলার ছিলেন। ২৩ বছরে খুনের সহায়তার অভিযোগে তাঁর ১৬ বছরের জেল হয়, পরে মুক্তি পান, কিন্তু ২০০৮-এ অস্ত্র নিয়ে গ্রেপ্তার হন। পেদ্রোর মা রিওতে চলে যান, যেখানে তিনি ১০ বছরে ফ্লুমিনেসির একাডেমিতে যোগ দেন। ১৮ বছরে ওয়াটফোর্ডে যান, ২০২৩-এ ব্রাইটনে (৩০ গোল, ১০ অ্যাসিস্ট)। চেলসিতে ৮ বছরের চুক্তি সইয়ে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে অভিষেক করেন।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট
চেলসি (৬৩% বল দখল, ১২ শট) ফ্লুমিনেসিকে (০.৯ xG) দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ন্ত্রণ করে। থিয়াগো সিলভা বলেন, “পেদ্রো আমাদের শাস্তি দিল, কিন্তু আমি তার প্রগতিতে গর্বিত।” ফ্লুমিনেসির প্রত্যাবর্তন ব্যর্থ হয়—হারকিউলিসের শট কুকুরেল্লা ক্লিয়ার করেন, এবং চালোবাহর হ্যান্ডবলের পেনাল্টি VAR-এ বাতিল হয়। X-এ ফ্যানরা পেদ্রোর “বিশ্বমানের” ফিনিশিং প্রশংসা করে, তবে ফ্লুমিনেসির ডিফেন্সকে “দুর্বল” বলে।
আগামীর পথ
চেলসি ১৩ জুলাই মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদ বা পিএসজি-র বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে, যেখানে পেদ্রো (২০২৪/২৫-এ ১০ গোল) এবং কোল পামার (১২ গোল) নেতৃত্ব দেবে। মারেস্কার দল প্রিসিজনে এসি মিলানের বিপক্ষে (২৬ জুলাই) এবং কমিউনিটি শিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে (১০ আগস্ট) খেলবে। ফ্লুমিনেসি ব্রাসিলেইরাও (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬) ফিরবে। X-এ ফ্যানরা পেদ্রোকে ব্যালন ডি’অরের সম্ভাব্য দাবিদার বলে, তবে ফাইনালে মবাপ্পের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জের কথা বলে।