গ্রিনের জন্য লড়াই হয়তো কলকাতার সঙ্গে চেন্নাইয়েরও

আইপিএলের মিনি নিলাম যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে জল্পনা কে কাকে দলে নেবে। ভারতের বিরুদ্ধে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে গেলেও, আইপিএলের মিনি নিলামের শর্ট লিস্টে জায়গা করে নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। প্রাথমিক দীর্ঘ তালিকায় নাম না থাকলেও শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিপার–ব্যাটারকে নিলামের মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ডি কক নিজেকে রেখেছেন ১ কোটি টাকার বেস প্রাইসে। তাঁর মতোই প্রথমে না থাকলেও পরে শর্ট লিস্টে ঢুকে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডে এবং শ্রীলঙ্কার দুনিথ ওয়াল্লালাগে।

ফেব্রুয়ারি–মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মঙ্গলবার কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। আর তার পরেই এপ্রিল–মেতে আইপিএল। ১৬ ডিসেম্বর আবু ধাবিতে মিনি নিলামে অংশ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেই এই লিগের জন্য স্কোয়াড গড়ার কাজ সেরে নিতে হবে।

নিলামে সবার ওপরে দর উঠতে পারে ক্যামেরন গ্রিনের

বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন নিলামে সবচেয়ে বেশি দর উঠতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিনের নামেই। পেস বোলিং করতে পারলেও, তিনি নিজেকে মূলত ব্যাটার হিসেবে নিলামে তুলেছেন। অতীতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে প্রায় ১৭.৫ কোটি টাকায় কিনেছিল, পরে ট্রেড হয়ে তিনি চলে যান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুয়।

এবার গ্রিনের জন্য ঝাঁপাতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস, কারণ এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি পার্স। অর্থাৎ গ্রিনকে নিয়ে দুই দলের টানাটানি হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত বলেই ধরে নিচ্ছেন আইপিএল বিশ্লেষকেরা।

মোট ৪০ জন ক্রিকেটার মিনি নিলামে ২ কোটি টাকার বেস প্রাইসে উঠবেন। তাঁদের মধ্যে ভারত থেকে রয়েছেন মাত্র দু’জন – ব্যাটার অলরাউন্ডার বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং স্পিনার রবি বিষ্ণোই। ১ কোটি টাকার বেস প্রাইসে রাখা হয়েছে আকাশ দীপ, রাহুল চাহার ও উমেশ যাদবকে।

বাংলার আট ক্রিকেটারও থাকছেন নিলামের তালিকায়

এই নিলামে বাংলার থেকেও জায়গা হয়েছে মোট আট জন ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন:
– আকাশ দীপ (বেস প্রাইস ১ কোটি)
– করণ লাল (৩০ লক্ষ)
– সৈয়দ ইরফান আফতাব (৩০ লক্ষ)
– রবি কুমার (৩০ লক্ষ)
– ঈশান পোড়েল (৩০ লক্ষ)
– ব্রিজেশ শর্মা (৩০ লক্ষ)
– শ্রেয়ান চক্রবর্তী (৩০ লক্ষ)
– সায়ন ঘোষ (৩০ লক্ষ)

এখন দেখার, আবু ধাবির মঞ্চে কার ভাগ্যে খুলে যায় আইপিএলের দরজা, আর ক্যামেরন গ্রিনের জন্য শেষ পর্যন্ত কতদূর বিডিং যুদ্ধ গড়ায় কলকাতা ও চেন্নাইয়ের মধ্যে।