জয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে দল যেভাবে খেলেছে তাতে খুব খুশি দিদিয়ে দেশম। তবে গোলমুখে দলের ফরোয়ার্ডের আরও ধারাল দেখতে চান ফ্রান্স কোচ।
ম্যাচের বিস্তারিত
ডুসেলডর্ফে সোমবার শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টোনেনের আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে ফ্রান্স। শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করে যায় ফ্রান্স। তবে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারছিল না তারা। প্রথমার্ধে অঁতোয়ান গ্রিজমানের শট অনায়াসে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে অহেলিয়া চুয়ামেনির একটি প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি। ৮৫তম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় গোলটি পায় ফরাসিরা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রান্দাল কোলো মুয়ানির শটে বল ভার্টোনেনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
কোচের মন্তব্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা
ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ দেশম। তিনি বলেন, “আমরা যা করতে পেরেছি, তার জন্য আমি খুবই গর্বিত। আমরা কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছি এবং এটিই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
ম্যাচে ৫৫ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে গোলের জন্য মোট ১৯টি শট নেয় ফ্রান্স। তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র দুটি। আর এই জায়গাতেই আরও উন্নতির প্রয়োজনীয়তা দেখছেন দেশম। তিনি বলেন, “অবশ্যই শুধু বল দখলে রেখে ম্যাচ জেতা যাবে না। পজেশন ধরে রাখা, আক্রমণ করা এবং রক্ষণ সামলানো অবশ্য ভালো দিক। তবে আমাদের কয়েকটা শট ছিল (লক্ষ্যে), সম্ভবত এটিই একমাত্র জায়গা, যা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।”
ফ্রান্সের গোল করার চ্যালেঞ্জ
ইউরোর আগে কানাডার বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ ধরে, সবশেষ পাঁচ ম্যাচে ফ্রান্সের গোল মাত্র তিনটি, যার দুটিই প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী, নিজেদের গোল কেবল একটি, পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে করেন কিলিয়ান এমবাপে। আসরে ‘ওপেন প্লে’ থেকে এখনও গোল করতে পারেনি দুবারের ইউরো জয়ীরা।
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম মনে করছেন, দলের ফরোয়ার্ডদের আরও কার্যকর এবং ধারালো হতে হবে যাতে তারা ভবিষ্যতে আরও বেশি গোল করতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদের আক্রমণভাগকে আরও উন্নত করতে হবে এবং প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকদের আরও কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে হবে।”