কিলিয়ান এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগায় প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন, তবে তার অভিষেকটি প্রত্যাশা অনুযায়ী সুখকর ছিল না। মায়োর্কার বিরুদ্ধে এই ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয়। যদিও এমবাপে তার উয়েফা সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে গোল করে নজর কেড়েছিলেন, লা লিগায় তার অভিষেক তেমন কোনো ছাপ ফেলতে পারেনি। মাদ্রিদ শুরুতে দারুণ খেললেও ম্যাচের শেষ দিকে ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
মায়োর্কার বিরুদ্ধে মাদ্রিদের সংগ্রাম
মায়োর্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম গোলটি করে এগিয়ে যায়। এই গোলটি আসে এমবাপে, জুড বেলিংহ্যাম এবং ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত সমন্বয়ের ফলে। রদ্রিগো শেষ পর্যন্ত গোলটি করতে ভুল করেননি। কিন্তু প্রথমার্ধের বাকি সময়ে মাদ্রিদ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি, এবং দ্বিতীয়ার্ধে তাদের এই ছন্দহীনতার খেসারত দিতে হয়।
মুরিকির গোল এবং এমবাপের ব্যর্থতা
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে মায়োর্কার ভেদাত মুরিকি গোল করে ম্যাচটি সমতায় নিয়ে আসেন। এমবাপের উপর ছিল মুরিকিকে আটকানোর দায়িত্ব, কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হন। মায়োর্কার রক্ষণভাগ এমবাপেকে সারা ম্যাচে চাপে রেখেছিল, যার ফলে তিনি তার স্বাভাবিক খেলা দেখাতে পারেননি। রিয়াল মাদ্রিদকে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট নষ্ট করে মাঠ ছাড়তে হয়, যা তাদের লা লিগা অভিযানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
ম্যানচেস্টার সিটির সফল শুরু
অন্যদিকে, প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি তাদের নতুন মৌসুমের শুরুতেই শক্তিশালী পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছে। চেলসির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই তারা ২-০ গোলে জয়লাভ করে। সিটি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে এবং আর্লিং হালান্ডের ১৯ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায়। ম্যাচের শেষ দিকে কোভাচিচ দ্বিতীয় গোলটি করে চেলসির প্রত্যাবর্তনের সব আশা শেষ করে দেন।
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির প্রভাব
ম্যানচেস্টার সিটির এই জয় প্রমাণ করে যে তারা এই মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিযোগী হতে চলেছে। প্রথম ম্যাচেই চেলসির মতো একটি শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পেপ গুয়ার্দিওলার দল তাদের আক্রমণাত্মক কৌশল এবং সুষ্ঠু রক্ষণভাগের কারণে চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এই ম্যাচগুলো প্রমাণ করে যে ফুটবলের বিশ্বে বড় দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা কতটা তীব্র। এমবাপের লা লিগা অভিষেক যেমন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তেমনই ম্যানচেস্টার সিটি তাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। এখন দেখার বিষয়, এই মৌসুমের বাকি সময়ে তারা কেমন পারফর্ম করে।