দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনা চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, হুলিয়ান আলভারেজ এবং পাওলো দিবালা। দীর্ঘদিন পর দিবালা দলে ফিরেই গোল করে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। এই জয়ে আর্জেন্টিনা তাদের শীর্ষস্থান আরও শক্তিশালী করেছে।
প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক শুরু, তবে গোল নেই
মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই চিলির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে চিলি, যারা তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলছিল। তবে আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা গোল করতে ব্যর্থ হয়। লাউতারো মার্টিনেজ এবং হুলিয়ান আলভারেজের নেতৃত্বে আক্রমণ চালানো হলেও চিলির রক্ষণদুর্গ ভেদ করা যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। হুলিয়ান আলভারেজের ডানদিক থেকে করা নিচু ক্রসটি প্রথমে লাউতারো মার্টিনেজ স্পর্শ করতে ব্যর্থ হলেও ম্যাক অ্যালিস্টার তা জোড়ালো শটে জালে পাঠান। এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
আলভারেজের গোল নিশ্চিত করে জয়
চিলির রক্ষণাত্মক পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে। নির্ধারিত সময়ের শেষ ছয় মিনিট আগে হুলিয়ান আলভারেজ আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন। লো সেলসোর একটি নিখুঁত পাস থেকে আলভারেজের এই দুর্দান্ত গোলটি নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনার জয়। চিলির পক্ষ থেকে কোনো বড় প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
দিবালার জাদু
ম্যাচের বাড়ানো সময়ের প্রথম মিনিটে পাওলো দিবালা তৃতীয় গোলটি করেন, যা চিলির কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিন পর দিবালাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে এবং তিনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। কোপা আমেরিকার স্কোয়াডে জায়গা না পেলেও মেসির ইনজুরি এবং মারিয়ার অবসরের পর দিবালা আবার দলে জায়গা পেয়েছেন এবং নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থান আরও মজবুত
এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কনমেবল অঞ্চলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে। ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, চিলি ৭ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয় নম্বরে রয়েছে।
মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার এই জয় দেখিয়েছে যে দলটি কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে না। আর্জেন্টিনা তাদের শক্তিশালী স্কোয়াড এবং নতুন প্রতিভা নিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা তাদের সমর্থকদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।