বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বুধবারের অনুশীলন বাতিল করে সারাদিন হোটেলে কাটিয়েছেন। দলের অনেককেই চেক দেওয়া হলেও সেগুলো বাউন্স হয়েছে। এছাড়া গত ১০ দিন ধরে খেলোয়াড়রা দৈনিক ভাতাও পাননি।
রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অনুশীলন বাতিলের কারণ ছিল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম চাওয়া। তবে ম্যানেজারের বক্তব্যে উঠে এসেছে, মূলত পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণেই ক্রিকেটাররা অনুশীলন থেকে বিরত ছিলেন।
চেক বাউন্স ও পেমেন্ট দেরির কারণ
দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহীর মালিকের স্ত্রীর বুকে একটি বলের আঘাত লাগার পর তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে যান। এ কারণে পেমেন্টে বিলম্ব হয়েছে।
“যে ম্যাচে আমাদের মালিকের স্ত্রী আহত হয়েছিলেন, তখন তার দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি,” বলেন রাজশাহী দলের অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ।
খেলোয়াড়দের হুমকি ও বিসিবি সভাপতির হস্তক্ষেপ
পারিশ্রমিক ইস্যুতে খেলোয়াড়রা শুক্রবারের ম্যাচ বয়কটের হুমকি দেন। এমন পরিস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ চট্টগ্রামে উপস্থিত হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে খেলোয়াড়রা আবার অনুশীলনে ফিরেছেন।
দলের ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি বলেন:
“পারিশ্রমিকের দেরি হওয়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। আশা করছি, আজকের মধ্যেই ২৫% পেমেন্ট সম্পন্ন হবে।”
ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি
রাজশাহীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে খেলোয়াড়দের অভিযোগ ক্রমশ বেড়েছে। দল এখনও কিট ব্যাগ সরবরাহ করতে পারেনি। অপি জানান, ইমিগ্রেশন থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় কিট ব্যাগ আনতে দেরি হয়েছে।
“হেলমেট, প্যাড ও গ্লাভস এসেছে, কিন্তু কিট ব্যাগ আসেনি। অন্যান্য দল আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল, আমরা অনেক দেরিতে অর্ডার করেছি,” বলেন অপি।