বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ভালোভাবে শুরু হলেও লাঞ্চের পর ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। মুমিনুল হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০৭*) এবং মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গী হয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ জুটি সত্ত্বেও বাংলাদেশ দল ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
লাঞ্চের আগে মুমিনুল হক তার ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দেশের বাইরে এটি ছিল তার মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, এবং প্রায় তিন বছর পর বিদেশের মাটিতে তার সেঞ্চুরি পাওয়ায় দলের জন্য এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল। মুমিনুলের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং এবং সঠিক মেজাজে খেলাই তাকে সেঞ্চুরি পর্যন্ত নিয়ে যায়।
মেহেদি হাসান মিরাজের ইনিংস এবং পরবর্তী পতন
মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রানের ছোট কিন্তু মূল্যবান ইনিংস খেলেন, তবে তার আউট হওয়ার পরই বাংলাদেশ দলের পতন শুরু হয়। বুমরাহ এবং সিরাজের ধারাবাহিক আক্রমণে বাংলাদেশের নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছু করতে পারেননি। বুমরাহর বোলিং মিরাজকে ফেরানোর পর, দ্রুতই তাইজুল এবং হাসান মাহমুদও আউট হয়ে যান।
রবীন্দ্র জাদেজার রেকর্ড এবং বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি
রবীন্দ্র জাদেজা এই ম্যাচে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেট পূর্ণ করেন, যা তাকে টেস্ট ক্রিকেটের এলিট ক্লাবে নিয়ে যায়। তিনি ৩০০ উইকেট এবং ৩ হাজার রান সম্পন্ন করা ১১তম খেলোয়াড়। তার অসাধারণ বোলিংয়ে খালেদ আহমেদ আউট হন এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দল ২৩৩ রানে শেষ হয়।
বুমরাহর বিধ্বংসী বোলিং
ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ আবারও প্রমাণ করেছেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। লাঞ্চের পর বুমরাহর বলেই মূলত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা ভেঙে পড়েন। তার সঠিক লাইন এবং লেংথে বল করার দক্ষতাই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ দলের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ দল এই ম্যাচে ব্যাটিং লাইনআপের ধসের কারণে চাপের মুখে পড়েছে। তবে মুমিনুলের সেঞ্চুরি দলের জন্য একটি বড় ইতিবাচক দিক ছিল, যা ভবিষ্যতে তাদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।