ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে পেস বোলিং সবসময়ই বড় ভূমিকা পালন করেছে। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের যুগের অবসানের পর, প্রশ্ন উঠেছে—কাদের হাতে যাবে ইংল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের হাল?
ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, “পেস বোলিং গতি সবসময়ই এক বিশাল অস্ত্র। এটি ব্যাটসম্যানদের ভিন্নভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করে। তবে গতির সঙ্গে দক্ষতাও থাকতে হবে।” এই বক্তব্যটি বর্তমান ইংল্যান্ড দলে পেস বোলারদের গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তোলে।
ভবিষ্যতের তারকা পেসাররা
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) অক্টোবর মাসে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এই চুক্তিতে নতুন পেসারদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। বর্তমানে উন্নয়ন চুক্তিতে আছেন ম্যাথু ফিশার, সাকিব মাহমুদ ও জন টার্নার। ফিশার ও মাহমুদের ২০২২ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। টার্নারও নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন।
জফরা আর্চারের প্রত্যাবর্তন
দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করে গত মে মাসে টি–টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন জফরা আর্চার। ১০ ম্যাচে ৭.২৮ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নিয়ে ভালো ছন্দে রয়েছেন তিনি। তবে তাকে ২০২৫ সালে টেস্টে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, তা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট পুনর্বিবেচনা করবে।
বর্তমান দলের পেসাররা
মার্ক উড ও গাস অ্যাটকিনসনের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন স্টোকস। উডের গতি এবং বলের সুইং করানোর ক্ষমতা ইংল্যান্ডের বড় সম্পদ। অ্যাটকিনসনও তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। এছাড়া ক্রিস ওকসও রয়েছেন, যিনি পরীক্ষিত পেসার।
ইংল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। তরুণ পেসারদের উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞ পেসারদের সমন্বয়ে ইংল্যান্ড দল একটি শক্তিশালী পেস আক্রমণ তৈরি করতে সক্ষম হবে। নতুন চুক্তি এবং নির্বাচকদের পরিকল্পনায় নতুন পেসারদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ইংল্যান্ডের পেস বোলিং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।