অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে শোক: নেটে আহত হয়ে তরুণ বেন অস্টিনের মর্মান্তিক মৃত্যু

মেলবোর্নে নেট অনুশীলনের সময় স্বয়ংক্রিয় বোলিং মেশিনের ডেলিভারিতে বল মাথা ও ঘাড়ের সংযোগস্থলে লাগে এবং ১৭ বছরের বেন অস্টিন গুরুতর আহত হন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরদিন তিনি মারা যান। স্থানীয় ফার্নট্রি গালি ক্রিকেট ক্লাবের নিশ্চিতকরণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে।

ক্লাবের শোকবার্তা ও বেনের প্রোফাইল

ফার্নট্রি গালি ক্লাব জানায়, বেন ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান অলরাউন্ডার, অনুপ্রেরণাদায়ক নেতা ও সবার প্রিয় মানুষ। সতীর্থ–কোচদের ভাষায়, তাঁর উদ্যম ও ইতিবাচকতা ক্লাবের প্রাণ ছিল। তরুণ এই ক্রিকেটারকে ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবেও দেখা হচ্ছিল।

নিরাপত্তা আলোচনায় ফের হিউজের স্মৃতি

ক্রিকেটে এমন দুর্ঘটনা বিরল হলেও ঘটনাটি মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। ২০১৪ সালে ফিলিপ হিউজ মাথার পেছনে বল লেগে প্রাণ হারানোর পর হেলমেট ডিজাইন, কনকাশন প্রোটোকল ও সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্ত করা হয়েছিল। তবু নেট প্র্যাকটিসে মাথা–ঘাড় অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এল।

সমাজের প্রতিক্রিয়া

দেশজুড়ে ক্রিকেট মহল ও নানা ক্লাব–খেলোয়াড় সামাজিক মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছে। ক্লাবের ভাষায়, “আমরা শুধু প্রতিভাবান এক ক্রিকেটারই নয়, এক অসাধারণ মানুষকে হারিয়েছি—যাকে সবাই ভালোবাসত।”

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন