বুন্দেসলিগায় ১৮টি দলের মধ্যে মৌসুম শুরু করলেও, শেষে ট্রফি উৎসবে বায়ার্ন মিউনিখ করবে শান্তি। এটি একটি কার্য যা ১১ বছরের সময়ে প্রাক্তন বিয়ার মুক্ত হয়ে উঠেছে ফুটবল বিশ্বে। এক দশক অতিক্রম করার পরে, জার্মান ফুটবলের শিরোপা মাথায় তুলেছেন নতুন এক অবতারকারী – বায়ার লেভারকুসেন।
২০২৩–২৪ বুন্দেসলিগা সিজনে, লেভারকুসেন পাঁচটি ম্যাচ বাকি থাকার পর চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সময়সূচী যেখানে ১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথম বারের মতো শীর্ষ লীগে লেভারকুসেন একটি ট্রফি জয় করেছে। এর আগে, তারা পাঁচবার রানার্সআপে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আজ, লেভারকুসেন ২৯ ম্যাচে পয়েন্ট ৭৯ শেষ করেছে, যেটি ম্যাচ শেষ হলেও বয়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট সমান ৬৩ ম্যাচে। দুই দলের ব্যাবধান ১৬ পয়েন্ট হলেও, লেভারকুসেন পরবর্তী পাঁচটি ম্যাচে হারলেও শীর্ষে থাকবে।
আজও শিরোপা জয়: লেভারকুসেন নিশ্চিত সাফল্যের পথে এগিয়ে চলছে। ম্যাচের শেষে, পতাকা, ব্যানার, এবং স্কার্ফ পরে, অনেকে নিয়ে আসে বুন্দেসলিগা ট্রফির রেপ্লিকা। আর ম্যাচের শেষের শিঙ্গ বাজার পরেই শুরু হয় শিরোপা উৎসব।
নেভারকুসেনের মন্ত্রীবাদ।
ট্রফির জন্য ক্ষুধার্ত লেভারকুসেন সমর্থকদের এতক্ষণ অপেক্ষা সহ্য হয়নি। ২৫ মিনিটে প্রথম আর ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হতেই জয় নিয়ে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন তারা। ৬৮ মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভার্টজের গোলের পর তো তখনই মাঠে নেমে পড়েন অবস্থা। শেষ পর্যন্ত মাঠে নেমে পড়েছেনও। ৮৩ মিনিটে ভার্টজ নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড় করে মাঠে নেমে পড়েন দর্শকেরা।
কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু করা হয়। তবে ৮৯তম মিনিটে ভার্টজ দলের পঞ্চম গোল করার পর আর খেলাই শুরু করা যায়নি। চারপাশের গ্যালারি থেকে দর্শকের ঢল নামে মাঠের ভেতরে। খেলোয়াড়দের বেশির ভাগ মাঠ ছাড়তে পারলেও দর্শকের ভালোবাসায় আটকা পড়েন ভার্টজ।
হ্যাটট্রিক করা জার্মান ফরোয়ার্ডকে আলিঙ্গনে, চুমুতে মাঠ ছাড়ারই সুযোগ দিচ্ছিলেন না কেউ। সবাই তো আর কোনো খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফকে পাচ্ছিলেন না। সামনে যে যাকে পাচ্ছেন জড়িয়ে ধরছেন, চিৎকার করছেন, গোল পোস্টের জাল কাটছেন… আর এরই মধ্যে কেউ কেউ একা দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছেন। এই জল খুশির, প্রথমবার বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এই দিন বিদ্রুপকারীদের ‘নেভারকুসেন’ খোঁচার জবাব দেওয়ার, ‘নেভার সে নেভারকুসেন এভার এভার এগেইন।’