প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বার্সেলোনা ৩-২ গোলে পিএসজিকে পরাজিত করেছে। এই ম্যাচের আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল না থাকা রাফিনিয়া এদিন নিজের গোলের খরা কাটানোর পাশাপাশি দ্বিতীয় গোলটিও করেন। বদলি হিসেবে নামা আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন প্রথম স্পর্শেই আরেকটি গোল করেন যা পিএসজিকে চাপে ফেলে দেয়। জাভি হার্নান্দেজের নেতৃত্বে বার্সেলোনা এই জয়ের ফলে আগামী মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকবে।
প্যারিসে বার্সার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জয়
বার্সেলোনা পিএসজির মাঠে ৯ বছর পর প্রথম জয় পেল। শেষ জয়টি ছিল ২০১৫ সালের এপ্রিলে, যেখানে মেসি, নেইমার, ও সুয়ারেজ অভিনীত বার্সা ৩-১ গোলে জিতেছিল। সে সময় কাতালান দলের কোচ ছিলেন পিএসজির বর্তমান কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচ শুরু থেকেই পিএসজি দর্শকদের উল্লাসের মধ্যে বার্সাকে চাপে রাখে, যদিও কাং লি ইন ও মার্কো আসেনসিও সুযোগ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বার্সার গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন। অবশেষে, বার্সা খেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেদের ছন্দে ফিরে আসে। রবার্ট লেভানডফস্কি প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন, যদিও নুনো মেন্দেস বল গোললাইন থেকে সরিয়ে দিয়ে পিএসজির জন্য সংকট এড়ান।
বার্সা ও পিএসজির তীব্র লড়াই
বার্সেলোনা প্রথমার্ধে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে গেলেও, পিএসজি বিরতির পর ম্যাচে ফিরে আসে। গোলকিপার দোন্নারুমার এক সাহসী রুখে দেওয়ায় বল পেয়ে যান রাফিনিয়া এবং তিনি বাঁ পাশে অপ্রতিরোধ্য থেকে গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে, কোচ এনরিকে ব্র্যাডলি বারকোলাকে নামিয়ে পিএসজির খেলায় নতুন মাত্রা যোগ করেন। দেম্বেলে ৪৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা ফেরান এবং নিজের পুরানো ক্লাব বার্সা বিপক্ষে জোরালো উদ্যাপন করেন।
ম্যাচের প্রত্যাবর্তন ও জয়
দেম্বেলের গোলের কিছুক্ষণ পর পিএসজি ফাবিয়ান রুইজের সহায়তায় ভিতিনিয়ার গোলে এগিয়ে যায়। তবে বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা এমবাপ্পেকে কঠিনভাবে মার্কিং করে। পিএসজি দেম্বেলে ও ভিতিনিয়ার গোলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলেও বার্সেলোনা প্রত্যাবর্তনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে। পেদ্রি ও ক্রিস্টেনসেনের প্রভাবে রাফিনিয়া দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফেরান। ক্রিস্টেনসেন মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন। আশরাফ হাকিমির অনুপস্থিতি ও মার্কিনিওসের অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের কারণে পিএসজি চ্যালেঞ্জ বাড়াতে পারেনি। বার্সেলোনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় পিএসজি অবশেষে হেরে যায়।