১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয় বাংলাদেশের, তাইজুলের দাপটে সিরিজ ড্র

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ঘটল, যখন তারা ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি টেস্ট ম্যাচ জয়লাভ করল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৮৭ রানের লক্ষ্য ছিল, তবে তারা মাত্র ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই অবিস্মরণীয় জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন বাংলাদেশের পেসার তাইজুল ইসলাম, যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামিয়ে দেন।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয়। শাদমান ইসলাম একাই ৬৪ রান করেন, কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন রান করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে জেডন সিলস ৪ উইকেট নেন এবং শামার জোসেফ ৩ উইকেট শিকার করেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ দাপট দেখান এবং মাত্র ১৪৬ রানে তাদের গুটিয়ে দেন। নাহিদ রানা নেন ৫ উইকেট, হাসান মেহমুদ নেন ২ উইকেট, এবং তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ এক একটি করে উইকেট তুলে নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের চমকপ্রদ বোলিং

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল ২৬৮। জাকের আলির ৯১ রান এবং শাদমান ইসলামের ৪৬ রানের সুবাদে বাংলাদেশ এই রান তুলতে সক্ষম হয়। ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের বোলিং দাপটে মাত্র ১৮৫ রানে থেমে যায়। তাইজুল ইসলাম এই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেন।

এটি ছিল তাইজুলের সেরা পারফরম্যান্স

১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবজনক। এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম কারণ ছিল। ২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এটি ছিল তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স, যা বিদেশে তার সবচেয়ে ভালো পরিসংখ্যানও।

বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসের অংশ

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ ড্র করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শেষ সাতটি টেস্টে হারার পর এই জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।

লেখক সম্পর্কে

১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজেশ কুমার, সাধারণ খেলার ক্ষেত্রে দশকেরও বেশি বিশেষজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজ্ঞতা সহ এক পুরস্কৃত প্রাধিকর্তা। ২০০৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলার বিজ্ঞানে স্নাতক সমাপ্ত করার পর, কুমার ভারতবর্ষের বিভিন্ন খেলার একাডেমির সাথে সম্পর্কিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে করে, তিনি তার অভ্যাসে বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলি অবলম্ব করেছেন। রাজেশ বর্তমানে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত, দৈনন্দিন খেলাধুলা নিয়ে নিবন্ধ লেখেন এবং Betting.BC.Game-এর প্রধান সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন
সবাই আপনার মন্তব্য দেখতে পাবেন