শেষ মুহূর্তের গোলে ভুটানের কাছে ১–০ ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ ফুটবল দল। ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, ভুটান থেকে দুটি জয় নিয়ে ফিরবেন দেশে। তবে তার সেই আশা পূরণ হয়নি। ভুটানের কিংগা ওয়াংচুকের একমাত্র গোলেই বাংলাদেশকে হারাতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দল, যার ফলে দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজ ১–১ সমতায় শেষ হয়েছে।
প্রথম ম্যাচে জয়: আশার আলো
প্রথম প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ ব্যবধানে ভুটানকে পরাজিত করেছিল। সেই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন তরুণ ফুটবলার শেখ মোরসালিন। সেই জয়ের পর বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি তাদের বিপক্ষে চলে যায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ফর্মহীনতা
দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ছিলেন একাদশের বাইরে। তার অনুপস্থিতিতে সোহেল রানা অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বনাথের পরিবর্তে ইসা ফয়সল মাঠে নামেন। কিন্তু পুরো ম্যাচে বাংলাদেশ তাদের সেরা ফর্মে খেলতে পারেনি। প্রথমার্ধটি ছিল গোলশূন্য এবং উভয় দলই তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
শেষ মুহূর্তের বিপর্যয়
দ্বিতীয়ার্ধে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ফাহিমের বদলে রাব্বি হোসেন এবং মোরসালিনের বদলে জামাল ভূঁইয়া মাঠে নামেন। কিন্তু খেলার ধারে কোনো উন্নতি হয়নি। ৭৫ মিনিটে মজিবুর রহমান জনি পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন।
তবে ম্যাচের শেষ দিকে ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ফ্রি কিক থেকে সতীর্থের হেড পাসে ভুটানের কিংগা ওয়াংচুক নিখুঁত শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুলকে পরাস্ত করেন। এই গোলের পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি এবং ম্যাচটি ১–০ ব্যবধানে হেরে যায়।
পরিসংখ্যানের দিকে নজর
এই হারের ফলে ভুটানের বিপক্ষে ১৬টি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় সংখ্যা দাঁড়ালো ১২টিতে। ভুটান জয়লাভ করেছে ২টি ম্যাচে, আর বাকি ২টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।