
রক্ষণে আঘাত এবং অর্ধেক ফিট খেলোয়াড়ে ঝুঁকি
তারিক কাজী পুরো ফিট ছিলেন না এবং তপু বর্মণও ম্যাচ প্রস্তুতিতে পিছিয়ে ছিলেন। কোচ সেন্ট্রাল ডিফেন্সে অভিজ্ঞ বিকল্প নেননি। অনভিজ্ঞ শাকিল আহাদ তপুকে একাদশে রেখে ঝুঁকি নেওয়া হয়। ম্যাচ চলার সময় তারিককে তুলে নিতে বাধ্য হতে হয়। শেষ দিকে অপ্রস্তুত তপুকে নামাতে হয়। এই পরিস্থিতি রক্ষণকে ভঙ্গুর করে তোলে।
রক্ষণ সুরক্ষায় বিকল্প পরিকল্পনার অভাব
ইয়াছিন আরাফাতকে বিবেচনায় আনা যেত রক্ষণ সুরক্ষায়। কোচ বিল্ডআপের যুক্তি দেখিয়ে তাকে ব্যবহার করেননি। প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একই ধরনের বিল্ডআপ প্রয়োজন হয় না। হংকংয়ের শক্তি বিবেচনায় সেন্ট্রাল ডিফেন্সে রক্ষাকবচ রাখা প্রয়োজন ছিল।
উইং প্লে কার্যকর হয়নি
রাইট উইং থেকে রাকিব হোসেন সাধারণত ক্রস দেন ভালোভাবে। এই ম্যাচে তিনি স্ট্রাইকার পজিশন থেকে উইংয়ে নেমে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রতিপক্ষ তার ক্রসের পথ বন্ধ করে দেয়। প্রথাগত উইঙ্গার হিসেবে পুরো সময় ব্যবহার করা হলে বক্সে আরও পরিষ্কার সরবরাহ আসতে পারত।
সমতা ফেরানোর পর মনোযোগ খোয়ানো
যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে বাংলাদেশ স্কোর সমতা করে। এরপরই পুরো দল মনোযোগ হারায়। গোল উদযাপনের পর বেঞ্চ থেকে শেষ মুহূর্তের নির্দেশনা স্পষ্ট ছিল না। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে গোল খেয়ে পরাজয় নিশ্চিত হয়।
একাদশ নির্বাচন এবং বদলি ব্যবহারে প্রশ্ন
ঘরের মাঠে জয় প্রয়োজন ছিল। তবু সেরা সম্ভাব্য একাদশ নামানো হয়নি। শমিত সোমকে শুরুতেই নেওয়া যেত। বদলি হিসেবে নেমে তিনি গোল করেছেন এবং প্রভাব রেখেছেন। তরুণ লেফট ব্যাক জায়ান আহমেদ অনূর্ধ্ব তেইশ দলে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছেন। এই ম্যাচে শুরুতে সুযোগ পেলে বাম প্রান্ত আরও কার্যকর হতে পারত। সাদের স্থলে জায়ান পরে নেমে তা প্রমাণ করেছেন। মাঝমাঠে দুই সোহেল রানাকে একসঙ্গে খেলিয়ে কাঙ্ক্ষিত নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়নি। সিনিয়র সোহেল রানা ধারাবাহিক প্রভাব রাখতে পারেননি। জুনিয়র সোহেল রানা অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হন।
সারসংক্ষেপ
রক্ষণদুর্বলতা উইং থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহের ঘাটতি সমতা ফেরানোর পর কৌশলগত শৃঙ্খলা হারানো এবং একাদশ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা মিলেই বাংলাদেশের হার এসেছে। পরের ম্যাচগুলোর জন্য ফিটনেস মূল্যায়ন স্পষ্ট রক্ষণ বিকল্প এবং উইংকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি।