
ফরম্যাট ও সরাসরি যোগ্যতা কেমন হবে
দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ায় হতে যাওয়া ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে চৌদ্দ দল। সরাসরি জায়গা পাবে দশ দল। আয়োজক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে সরাসরি খেলবে। নামিবিয়া এই সুবিধা পাবে না। বাকিরা নির্ধারিত হবে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে যা গণনা হবে ২০২৭ সালের একত্রিশ মার্চ পর্যন্ত। অবশিষ্ট চার দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান এবং ঝুঁকি
বাংলাদেশ বর্তমানে দশ নম্বরে আছে এবং রেটিং পয়েন্ট পচাত্তর। ঠিক উপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে আশি পয়েন্টে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি দল বাছাইপর্বে নামতে পারে এমন আশঙ্কাই বেশি। জিম্বাবুয়ে বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ে এগারো নম্বরে থাকলেও আয়োজক হওয়ায় তাদের সরাসরি জায়গা প্রায় নিশ্চিত। ফলে বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ অঞ্চল বলতে র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম নয় অবস্থানকে ধরা যেতে পারে যা নিশ্চিত করতে হলে পরবর্তী সময়ের ফলাফল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে কত ম্যাচ
ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ যথেষ্ট আছে। ২০২৭ সালের একত্রিশ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে কমপক্ষে ছাব্বিশটি ওয়ানডে নির্ধারিত আছে। ভারতের স্থগিত সিরিজ অনুষ্ঠিত হলে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে উনত্রিশ হতে পারে। অধিকাংশ ম্যাচ হবে ঘরের মাঠে। বিদেশে খেলতে হবে মাত্র এগারোটি ম্যাচ। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু হবে। এরপর নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচ। ২০২৬ সালে ঘরের মাঠে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি করে সিরিজ আছে। জিম্বাবুয়ে সফরে পাঁচটি ম্যাচ। আয়ারল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি করে ছয়টি ম্যাচ। প্রয়োজন হলে বিশ্বকাপের আগে আরও প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগও রয়েছে।
কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটি নির্ণায়ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের ঠিক উপরে আছে। ফলে এই সিরিজ র্যাঙ্কিং লড়াইয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। ঘরের মাঠে তিন শূন্য ব্যবধানে জিততে পারলে নয় নম্বরে ওঠার সম্ভাবনা জোরদার হবে। একটি ম্যাচ হারলে দশ নম্বরেই থাকতে হতে পারে। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ পয়েন্ট টেবিলে তাৎক্ষণিক লাভের পাশাপাশি মানসিক অবস্থানেও প্রভাব ফেলবে।
বাছাইপর্বের পথ কীভাবে কাজ করবে
বাছাই টুর্নামেন্টে থাকবে দশ দল। র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটের বাইরে থাকা দুই পূর্ণ সদস্য যাবে সেখানে। সঙ্গে থাকবে আইসিসির দুটি বৈশ্বিক লিগ পেরিয়ে আসা সহযোগী সদস্য আট দল। এই দশ দল থেকে সেরা চারটি দল মূল বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। অর্থাৎ র্যাঙ্কিংয়ে নিরাপদ জায়গা নিশ্চিত না হলে বাছাই নামার ঝুঁকি থেকেই যায় এবং সেখানে প্রতিটি ম্যাচে সমীকরণ কঠিন হতে পারে।
সারসংক্ষেপ
বর্তমান ফর্ম হতাশাজনক হলেও সামনে রয়েছে প্রচুর ম্যাচ এবং অধিকাংশ ঘরের মাঠে। লক্ষ্য হওয়া উচিত র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বর বা তার ওপরে ওঠা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হতে পারে মোড়ঘোরানো ধাপ। পরিকল্পিত স্কোয়াড নির্বাচন পরিষ্কার ব্যাটিং কৌশল এবং ধারাবাহিক জয়ের মাধ্যমে সরাসরি যোগ্যতার পথ এখনও খোলা আছে।