
আবুধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানের ২৯৪
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে আফগানিস্তান ওপেনিংয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়ে ভিত্তি পায়। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪২ রান করেন। তিন নম্বরে সাদেকুল্লাহ আতাল ২৯ রান যোগ করেন। পার্ট টাইম স্পিনে সাইফ হাসান টানা সফল হয়ে আতাল এবং অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদীকে আউট করেন। ইব্রাহিম জাদরান সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে রান আউট হন। ওপেনার ইব্রাহিম ১১১ বলে ৯৫ রান করেন যেখানে ছিল সাত চার এবং দুই ছক্কা। ১৮৮ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পরও আফগানদের রথ থামেনি।
শেষ দিকে নবীর বিস্ফোরণ বাংলাদেশের পরিকল্পনা ভেঙে দেয়
রশিদ খানের প্রস্থানেও সুবিধা তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৪৯ রানে টানা দুটি উইকেট পড়ার পর ৪৯তম ওভারে মোহাম্মদ নবী একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ওই ওভারে চার বলে তিন ছক্কা আসে। শেষ ওভারে আরও রান যোগ হয়ে নবী ৩৭ বলে অপরাজিত ৬২ করেন। তার ইনিংসে চারটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা ছিল। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান বল হাতে চার ওভারে মাত্র ছয় রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস একমাত্র লড়াই সাইফ হাসানের ব্যাটে
২৯৪ তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পেলেও এরপর ধস নামে। নাঈম শেখ দ্রুত ফেরেন। নাজমুল হোসেন শান্ত তাওহীদ হৃদয় মেহেদী হাসান মিরাজ শামীম পাটোয়ারি এবং নুরুল হাসান কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ওপেনার সাইফ হাসান ৫৪ বলে তিন ছক্কা এবং দুই চারে ৪৩ রান করে একা লড়াই করেন। বাকি ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এবং ইনিংস থামে ২৭ দশমিক ১ ওভারে ৯৩ রানে।
আফগান বোলিংয়ে উদীয়মান পেসার সামির পাঁচ উইকেট রশিদের সাপোর্ট
মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ২১ বছর বয়সী পেসার বেলাল সামি ৭ দশমিক ১ ওভারে ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। রশিদ খান ছয় ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট নিয়ে চাপ বাড়ান। নিয়ন্ত্রিত লাইন এবং পেস ভ্যারিয়েশনে আফগান বোলাররা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সিরিজ চিত্র এবং সমাপ্তি
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ কষ্টে দুইশ ছুঁয়ে পাঁচ উইকেটে হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে একশ পার করে অলআউট হয়েছিল দুইশর আগেই। শেষ ম্যাচে ২৯৪ তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২০০ রানে হারে। ফলাফল আফগানিস্তানের পক্ষে তিন শূন্য। সিরিজে বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এবং শেষ দশ ওভারে বোলিংয়ে রান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় বড় ক্ষতি গুনেছে।