
আফগানিস্তানের উঁচু মানদণ্ড
হংকংকে ৯৪ রানে হারিয়ে আফগানিস্তান নেট রানরেট নিয়ে গ্রুপে অনেকটা এগিয়ে গেছে (+৪.৭০০)। বাংলাদেশও হংকংয়ের বিপক্ষে জিতেছে ৭ উইকেটে, কিন্তু ২০ বল হাতে রেখেও তাদের নেট রানরেট দাঁড়িয়েছে মাত্র +১.০০১। এই ব্যবধানই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া
তাওহিদ হৃদয়ের মতে, “রানরেট নিয়ে এত নেতিবাচক ভাবছি কেন আমরা? যদি তিনটা ম্যাচ জিতি তাহলে তো রানরেটের ব্যাপার থাকছে না।” তার এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, খেলোয়াড়রা জয়ের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন, সমীকরণ নয়।
বাংলাদেশের ম্যাচে আসল চিত্র
বাংলাদেশের জয় নিয়ে সমালোচনার জায়গা কম। হংকংয়ের বিপক্ষে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে উইকেটে বল গ্রিপ করছিল। দুই ওপেনার দ্রুত আউট হলেও লিটন দাস ও হৃদয় সতর্ক ব্যাটিংয়ে দলকে সামলে নেন। লিটন শেষ দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ম্যাচটা ১৪ বল হাতে রেখেই শেষ করেন।
বোলিংয়ের দায়
হংকংকে আরও দ্রুত অলআউট করতে না পারার দায় বোলারদেরও। তাসকিন আহমেদ ছিলেন খরুচে, আর মোস্তাফিজুর রহমান রান বাঁচালেও উইকেট তুলতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে একশোর নিচে গুটিয়ে দেওয়া যেত, তাতেই রানরেট বাড়ানো সম্ভব হতো।
সুপার ফোরে যাওয়ার সমীকরণ
গ্রুপে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সমান জয়ের সম্ভাবনা থাকায় নেট রানরেট বড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে লিটন দাস ও তার সতীর্থদের লক্ষ্য এখন শুধু প্রতিটি ম্যাচ জেতা। জয় নিশ্চিত হলেই রানরেটের হিসাব গৌণ হয়ে যাবে।